শুক্রবার, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পর্যটকদের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা

পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। ভালোবাসার রং ও সমুদ্রের উত্তাল টেউয়ের ছন্দে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠছে পর্যটকসহ তরুণ-তরুণীরা।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে রং-বে রংঙের পোশাকে অনেকেই প্রিয় মানুষের সঙে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে এসেছেন।

কেউ গা ভাসাচ্ছেন সমুদ্রের নোনা জলে। কেউ আবার প্রিয়জনকে নিয়ে তুলছেন সেলফি। অনেকে আবার বঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে তারকামানের হোটেল মোটেলগুলোকে সাজিয়েছে ভালবাসার রঙে। দিবসটি উপলক্ষে কুয়াকাটার বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে মহিপুর থানা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি সবকিছু মিলে জমজমাট পর্যটন কেন্দ্র সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় হয়েছে। কুয়াকাটায় সবকটি আবাসিক হোটেল মোটেল ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। কুয়াকাটায় আসা এসব ভ্রমণ পিপাসুদের কথা চিন্তা করে তারকা মানের হোটেলগুলোতে দেওয়া হয়েছে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা। ভালোবাসা দিবস ও আগামী সপ্তাহে একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটিতে লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আশা করছেন তারা।

খুলনা থেকে আসা রহিম-সুমি দম্পতি জানান, ২৮ বছরের সংসার জীবনে এখনও ভালোবাসার কমতি হয়নি। তাই দুজনে কুয়াকাটা সমুদ্রে ঘুরতে এসেছি। সকাল থেকে বিভিন্ন স্পটগুলো ঘুরেছি খাওয়া-দাওয়া করেছি, অনেক মজা করেছি।

যশোর থেকে আসা আর এক দম্পতি হেপি-সুমন জানান, এ বছর নতুন বিয়ে হয়েছে। তাই কুয়াকাটা সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। দিবসটি আমাদের কাছে ঐতিহ্য হয়ে থাকবে।

কলাপাড়া পৌর শহরের ফুল ব্যবসায়ী মাইনুল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মাইনুল জানান, দীর্ঘ একটি বছর চেয়ে থাকি এই দিনটির অপেক্ষায়। বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে সাড়ে তিন লাখ টাকার ফুল উঠিয়ে ছিলাম। ইনশাআল্লাহ বেচা বিক্রি অনেক ভালো।

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হোসাইন আমির বলেন, শুধু বিশ্ব ভালোবাসা দিবস নয়, ফাল্গুন, সরকারি ছুটি ও ২১-শে ফেব্রুয়ারি বন্ধ উপলক্ষে এখন থেকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লেগে আছে। ইতোমধ্যে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন হোটেল তাদের নিজস্ব কিছু কার্যক্রম শুরু করছে। আশা করা হচ্ছে সব কিছু ঠিকটাক থাকলে এ মাসে পর্যটন ব্যবসায়ীরা ভালো ব্যবসা করতে পারবে। এতে করে পর্যটন শিল্প বিকাশে অনেকটা সহায়ক হবে।

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের মধ্যে কাপলের সংখ্যা বেশি। সাধারণত মঙ্গলবার বা বুধবার এখানে তেমন পর্যটক থাকে না। তবে এখন ভালো বুকিং রয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাহাত গাওহারি জানান,‘পর্যটকদের আগমন ও স্থানীয়দের পদচারনা নিরাপদ করতে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে। তাছাড়া হোটেল-মোটেলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আলাদা টিম রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সৈকতজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে’।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ