সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খেয়ে বয়কটের ডাক তামাশা’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। বিএনপি ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা (বিএনপি) চেষ্টা করছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানী গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ২৫ মার্চ যে গণহত্যা হয়েছে একদিনে এত বড় হত্যা ইতিহাসে বিরল। রিকশা চালক, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিলো।

আমাদের গণহত্যা দিবস অনেক আগেই স্বীকৃত পেতো জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণহত্যার আলামত নষ্ট করা হয়েছিলো। জিয়াউর রহমান শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলো। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিলো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিলো, যারা সবুজ পতাকার বদলে পাকিস্তানি চার তারকা চেয়েছিলো সে জামায়াতে ইসলামী নেতাদের বেগম খালেদা জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিলো। যারা লাল-সবুজ পতাকা চায়নি তাদের গাড়িতে লাল সবুজ পতাকা দিয়েছিলো। ৭৫’র পরবর্তী গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিলো, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ত্রিশ লাখের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলো।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের গণহত্যার স্বীকৃতি এই জন্য দরকার যেনো ভবিষ্যতে এমন গণহত্যা পৃথিবীর কোথাও না হয়। গাজায় যে হত্যা হচ্ছে সেখানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বক্তব্য রাখছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই গণহত্যা বন্ধ চাই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করছে আজ। সেখানে খোঁজ নিলে দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, শান্তি বাহিনীর কেউ বসে আছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ