সূর্যমুখী,তোমায় দিলাম বিজন বুকের সবটুকু রোদ,
সবুজ ঘাসে তাকিয়ে থাকা একটি বিকেল,
বুকের মাঝে অবোধ্য এক কথার হুতাশ
সমস্ত রাত পাশবালিশে হাতড়ে ফেরা গন্ধবকুল,
একলা হওয়া মধ্যদুপুর, গনগনে এক কষ্ট বুকে গুমরে মরার অচিন প্রহর।
প্রিয়ার ছায়ায় ঘাসফড়িং- এর উথালপাতাল ডানার আগুন!
আমার বুকেই আষাঢ় নামুক
জল থই থই ব্যাকুল বাতাস।
অচিন রাগে ডুবতে ডুবতে আমার বুকের খুব গভীরে নিশীথ যাপন,
পথের পরে ঝরা পাতার পিষ্ট হবার কাব্যভাষা! ডুবেই মরি-
তোমায় খুঁজে, সূর্যমুখী!
তোমার বুকে মুখ লুকোতে শরীর জুড়ে মধ্যরাতের ডুকরে ওঠা;
একজোড়া চোখ খুঁজতে খুঁজতে আষাঢ় শ্রাবণ ব্যাকুল হলো।
বুকের পথে সম্পাদিত ঝরা পাতার অঝোর বুনন, তোমায় খুঁজে।
সূর্যমুখী, এমন ব্যাকুল বিকেল এলে তোমার ঘ্রাণেই মরতে চাওয়া;
কোন আকাশে হাতড়ে ফিরি তোমার ডানার একটু নরম!
মুখ লুকাবো এমন ঘন আর কে আছে,
কোথায় বাঁচে বলতে পারো সূর্যমুখী?
তোমার মতো কে তাকাবে সহজ আলোয় অপার হয়ে!