নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাজধানীর গুলশান থেকে অভিনব কায়দায় গাজার নির্যাস দিয়ে তৈরি কেক, চকলেট ও মিল্কশেক ও এসব সামগ্রী তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। গতকাল বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি পাঠাও মোটরসাইকেল আটক করে আরোহনকারী যাত্রীর নিকট থেকে মাদকদ্রব্য ও গাঁজা উদ্ধার সহ মোটরসাইকেল আরোহী জুবায়ের হোসেন(২৪) কে আটক করা হয়।
গুলশান থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অপহৃত ব্যক্তি জানায়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলো সে গুলশানের ৬ নং রোডের ১০ নাম্বার বাসায় ডেলিভারী দিতে যাচ্ছে। আটককৃত জুবায়ের হোসেন পুলিশকে জানায়, সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে এসব মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যমতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ১২ নং সেক্টরের ১৪ নং রোডস্থ ৮ নাম্বার বাসার ৬ষ্ঠ তলার-বি-৫ ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে গাঁজা দিয়ে তৈরি মিল্কশেক, গাঁজার নির্যাস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের চকলেট, কেক, ০১ কেজি গাঁজা, ফয়েল পেপার, স্টিকার রোল, বেনানা ফ্লেবার, বিভিন্ন ধরনের চকলেট বানানোর ডায়েস, এসব তৈরির বিভিন্ন উপাদান, ১০৭ টি ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধারসহ জুবায়ের হোসাইন (২৪), অনুভব খান রিবু (২৩), নাফিসা নাজাকে (২২) উত্তরা পশ্চিম থানার সহযোগিতায় আটক করে গুলশান থানা পুলিশ।
ডিএমপির গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান আটককৃত আসামীদের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত গাঁজার নির্জাস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ও গাজা সহ মোট ৭ কেজি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা অন-লাইনে ইনষ্টাগ্রামের মাধ্যমে কানাডিয়ান ও আফ্রিকান মাদক ব্যবসায়ীদের তৈরি বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও দেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গাঁজা দিয়ে কেক, চকলেট, মিল্কসেক তৈরি করত। তারা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমেই সেগুলো রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিক্রি করে আসছিল। তারা ৫ কেজি গাঁজার নির্যাস দিয়ে ১ কেজি চকলেট তৈরি করত। গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে।