Search
Close this search box.

হত্যার পর ভেকু দিয়ে পুঁতে রাখা হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদী খাঁন এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনুপ বাউল (৩৪)।গত ৪ ফেব্রুয়ারী মাদারীপুর যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই বিপ্লব বাউল সিরাজদী খাঁন থানায় জিডি করেন । থানা পুলিশ তদন্ত শেষে পুলিশ হেডকোর্য়াটারের নির্দেশে তদন্তে নামে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। তদন্তকারীর পরামর্শে তার ভাই পুনরায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তির সহযোগিতায় সন্দেহ ভাজন হিসাবে রিপনকে আটক করে। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যমতে পিযুষ, নয়ন ও দিলীপ নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত রিপন লাশ গুমের স্থান চিহিৃত করে দিলে বোয়ালখালীর সিরাজদী খাঁন এলাকা থেকে রিপনের নিজস্ব ভেক্যু চালিয়ে ১৬ ফিট গভীর বালির নিচ থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনুপ বাউলের(৩৪) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

পিবিআই হেডকোর্য়াটার্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার,বিপিএম(বার)। তিনি জানান, নিহত অনুপ বাউল (৩৪) এর স্বর্ণ ব্যবসার পার্টনার নয়ন মন্ডল। তাদের দুইজনের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে নয়ন মন্ডল স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনুপ বাউলকে খুনের পরিকল্পনা করে। নয়ন তার চাচাতো ভাই রিপন,পিযুষ ও দিলীপের সাহায্য নিয়ে অনুপ বাউলকে হত্যা করে । গত৪ ফেব্রুয়ারী সকাল অনুমানিক ১০টায় নয়ন মন্ডল অনুপ বাউলকে পাওনা টাকা দেয়া এবং মাদারীপুরে স্বর্ণের অর্ডার পৌছে দেয়ার কথা বলে জয়েনপুরে ডেকে নিয়ে আসে। জয়েনপুরে রিপনের মন্ডল এর গ্যারেজে আগে থেকে লুকিয়ে থাকা রিপন মন্ডল,পিযুষ ও দিলীপ দের সাথে অনুপ বাউল একত্রিত হয় এবং তাদের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে সাথে অনুপ বাউলের ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে ০৪ (চার) জন মিলে গ্যারেজের খাটের মধ্যে ফেলে কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারা লাশ একটি ড্রামে ভরে ফেলে। এরপর বিকাল ০৩ টার দিকে অটোতে করে আসামীরা লাশ ভর্তি ড্রামটি মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদী খান থানার বোয়ালখালীস্থ বিসিক এলাকায় বালুর মাঠের কাছে নিয়ে যায়। ড্রাম রেখে অটো চালক চলে গেলে আসামীরা ড্রামটিকে বালুর মাঠের ভিতরে নিয়ে যায়। তারপর কাঁদাযুক্ত একটি স্থানে ভেকু দিয়ে খুড়ে লাশ পুঁতে ফেলে আসামীরা চলে যায়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালেহ ইমরান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা ইতিপূর্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিলেও পিবিআই কর্মকর্তাদের কৌশুলী জিজ্ঞাসাবাদে তারা এক পর্যায়ে স্বীকার করতে বাধ্য হয়। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ