সব্যসাচী দাস ॥ হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ। যার পরিচিতি বা খ্যাতি পুরো বিশ্বজুরে। সম্প্রতি সময়ে তাকে ঘিরে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এ আলোচনা তার অভিনয় জীবন নিয়ে নয়। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। ২০১১ সালে সিনেমার শ্যূটিং এর সময় জনির সঙ্গে প্রেম হয় অ্যাম্বার হার্ডের। ২০১৫ সালে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের দুই বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৮ সালে হার্ড জনির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। জনি বিষয়টা অস্বীকার করেন এবং আদালতের শরণাপন্ন হন এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। অবশেষে দীর্ঘ চার বছর পর মামলার অবসান ঘটে। বেশির ভাগ রায় জনির পক্ষে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি আদালত এ রায় দিয়েছেন, সূত্র রয়টার্স। দুই দিনের আলোচনার পর আদালত জানায় জনির বিরুদ্ধে আনা হার্ডের পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগকে সাজানো। একই সঙ্গে জনিকে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জনির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনার পেছনে হার্ডের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল বলেও জানিয়েছেন আদালত। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে জনির আইনজীবীকেও। জনির বিরুদ্ধে আনা হার্ডের নির্যাতনের অভিযোগকে অভিনেতার আইনজীবী ধাপ্পাবাজি বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। আদালত এ বিবৃতিকে অবমাননাকর বলে জনির আইনজীবীকেও ২০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রায় প্রসঙ্গে জনি বলেন, ‘জুরি আমাকে আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি সত্যিই নির্দোষ। সঙ্গে আরও বলেন, ‘সত্য কখনো বিনষ্ট হয় না।’
অন্যদিকে রায় ঘোষণার পর আদালতে চুপচাপ বসে ছিলেন হার্ড। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখিত যে আমি মামলাটিতে হেরেছি। অন্য নারীদের জন্য এ রায়ে অর্থ কী, তা নিয়ে আমি আরও বেশি হতাশ। এটি একটি ধাক্কা।’ এই মামলার বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান হার্ডের আইনজীবী।