পথে প্রান্তরে ডেস্ক:- পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হচ্ছে খুব তারাতারি। সেতুকে ঘিরে শরীয়তপুরের মানুষের মধ্যে হয়েছে নতুন প্রাণের সঞ্চার ।পরিবহন খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। যা জেলার যোগাযোগ ক্ষেত্রকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়। এরইমধ্যে জেলার চারটি কোম্পানির দুই শতাধিক এসি–ননএসি বাস প্রস্তুতে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।
পরিবহন ব্যবসায়ীরা জানান, শরীয়তপুর ঢাকার খুব কাছের জেলা হলেও পদ্মা নদী ও সড়কের বেহাল দশার কারণে যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও সময় সাপেক্ষ। তাইতো পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে নতুন করে জেগে উঠেছে প্রায় ভগ্নদশায় থাকা শরীয়তপুরের পরিবহন খাত। যাত্রীদের আধুনিক সেবা নিশ্চিত করতে শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস প্রাইভেট কোম্পানি, শরীয়তপুর পদ্মা ট্রাভেলস, শরীয়তপুর পরিবহন ও গ্লোরি এক্সপ্রেসসহ আরও অনেক কোম্পানিই এ খাতে নতুনভাবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন। পরিবহনের সোনালী দিনের অপেক্ষায় মালিকপক্ষও।
তারা আরও জানান, জেলার বাসিন্দারা নৌপথ দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করেন। পদ্মা সেতু চালুর খবরে শরীয়তপুর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে সরাসরি বাস চালানোর উদ্যোগ নেয়। শরীয়তপুর থেকে ঢাকার গুলিস্তান, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, ভুলতা, গাউছিয়া ও নারায়ণগঞ্জে বাসগুলো চলাচল করবে। ব্যবসায়ীরাও এ জন্য নতুন গাড়ি প্রস্তুত করছেন। এরই মধ্যে ভলভো, আইচার, অশোক লিলেন্ড, টাটা গাড়ির (বাস) চেসিস কেনা হয়েছে। ২৫ জুন সেতুর সঙ্গে নতুন গাড়ির বহর যোগ করতে শরীয়তপুর–মাদারীপুরসহ ঢাকা, সাভার বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকরা দিন–রাত বাস প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।