স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইসিটি-ভিত্তিক প্রতিযোগিতা রুয়েট সিএসই ফেস্টের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অ্যাকাডেমিকদের উপস্থিতিতে রুয়েট ক্যাম্পাসে আয়োজিত অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিজয়ী ২৪ দল ও তিন শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত দেশের সবচেয়ে বড় টেক কার্নিভাল রুয়েট সিএসই ফেস্ট শুরু হয় গত ১৬ এপ্রিল। এ কার্নিভালে অংশ নিতে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন। এর মধ্য থেকে প্রকল্প ও আইডিয়ার ভিত্তিতে বিচারকগণ সাতশ’রও বেশি শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ০৩ থেকে ০৪ জুন মূল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচিত ৭শ’ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন সেগমেন্টে, যেমন- আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, প্রোজেক্ট শো-কেসিং, আইডিয়া/পোস্টার কনটেস্ট, লাইন ফলোয়ার রোবট, গেমিং কনটেস্ট, টেক ফটো প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগিতা, মোট ২৪টি দল ও তিন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীরা প্রধান অতিথির কাছ থেকে মোট সাড়ে তিন লাখ টাকার প্রাইজ মানি গ্রহণ করেন। এমন একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে শিক্ষার্থীরা আনন্দ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ এবং সভাপতিত্ব করেন রুয়েটের সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আল মামুন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদ উজ জামান, অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ ও সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শাহরিয়ার মনজুর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এ প্রতিযোগিতার টেকনোলজি পার্টনার হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার মো. তৌফিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘সকল বিজয়ীদের আমি অভিনন্দন জানাই। এই ফেস্ট তরুণদের দক্ষতা তুলে ধরতে এবং তাদের উদ্ভাবনী ধারণা প্রদর্শনে দারুণ একটি সুযোগ হিসেবে কাজ করেছে। নিজেদের জ্ঞান ব্যবহার করে নানান প্রজেক্ট তৈরিতে প্রতিযোগীদের উদ্ভুদ্ধ করেছে দারুণ এই প্রতিযোগিতা।’
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশন্স বিভাগের প্রধান ইউইং কার্ল বলেন, ‘রুয়েট সিএসই ফেস্ট ২০২২ তরুণদের জন্য জ্ঞান প্রয়োগ এবং দক্ষতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে। আমি সকল বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাই। দেশের তরুণদের আইসিটি বিষয়ক জ্ঞান অর্জনে এবং তাদের প্রাসঙ্গিক দক্ষতা বিকাশের সুযোগ তৈরি করতে হুয়াওয়ে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে আমাদের এ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ -এর মতো কর্মসূচি রয়েছে।’
বাংলাদেশের আইসিটি ইকোসিস্টেমের বিকাশে তরুণদের প্রস্তুত করে তুলতে ভূমিকা রাখছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশ যাতে ডিজিটাল রূপান্তরের সুবিধা উপভোগ করতে পারে, এজন্য হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ও আইসিটি স্কিল কম্পিটিশনের মতো বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ভূমিকা পালন করছে।