স্টাফ রিপোর্টার \ বাংলাদেশ রেলওয়ের সিপাহী পদে দুর্নীতির মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে সংস্থাটির পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট, বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ফুয়াদ হাসান পরাগ, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। আসামিরা সবাই আরএনবি সিপাহী নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়োগ কমিটির সদস্য ও বর্তমানে চিফ কমান্ড্যান্ট (পূর্ব) মো. জহিরুল ইসলাম, নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও বর্তমানে চিফ কমান্ড্যান্ট (পশ্চিম) মোহা. আশাবুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম) নিয়োগ কমিটির সদস্য, সাবেক কমান্ড্যান্ট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বর্তমানে সহকারী সচিব ফুয়াদ হাসান পরাগ, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক এসপিও মো. সিরাজ উল্যাহ এবং রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহামেদ।
অন্যদিকে পূর্ব রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক চিফ কমান্ড্যান্ট মো. ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সময় অপরাধ প্রমাণিত হলেও তিনি মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ২০১৭ সালে আরএনবির সিপাহী চতুর্থ শ্রেণির ১৮৫টি পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। একই বছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। আসামিরা সবাই নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন। সে সময় আসামিরা অসাধু অভিপ্রায়ে নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, সদস্য ও অনুমোদনকারী হিসেবে ন্যস্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এছাড়া পরিকল্পিতভাবে অসৎ উদ্দেশে বিশেষ কোটার প্রার্থী যেমন মুক্তিযোদ্ধা কোটা, পোষ্য কোটার প্রার্থীদের পাসের কাছাকাছি নম্বর দিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ দেখিয়ে ওই কোটায় পছন্দের প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় পাস দেখিয়ে চাকরি দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
এছাড়া বিভাগীয় কোটা, জেলা কোটা, পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য কোটা বিধি অনুযায়ী যথাযথভাবে প্রতিপালন না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারাসহ দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তে অন্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।