স্টাফ রিপোর্টার – বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে পরিবার। রবিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন।
চিঠিতে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, চিঠিটি রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি দাস চিঠি পৌঁছে দেন। শায়রুল কবির বলেন, এবিএম আব্দুস সাত্তার তাকে জানিয়েছেন ম্যাডামের মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এরআগে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা এ নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেই কেবল মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।
শনিবার আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষ মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তির মেয়াদের আবেদন পেলেই সরকার তা আবারও বাড়াবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। তবে আগের শর্ত দুটি থাকছেই। এরআগে যেমন খালেদা জিয়াকে নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, চিকিৎসা নিতে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দুই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দুটি শর্ত স্বীকার করেই তিনি মুক্তি পেয়েছেন। তিনি অসুস্থ হলে আইন অনুযায়ী দেশেই (তাকে) চিকিৎসা নিতে হবে, বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
শর্তানুযায়ী, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এই দুই শর্তের সঙ্গে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেই কেবল মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলামও মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, খালেদা জিয়া অনেক অসুস্থ, বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা জরুরি। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষ মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন পেলেই সরকার তা বিবেচনা করবে।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। বর্তমানে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনও করেছে পরিবার।