স্পোর্টস ডেস্ক – ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। কেন? টানা অফ ফর্মে দলের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছিলেন। যার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল ওয়ানডে ক্রিকেট ঠেকে অবসর নেবেন ফিঞ্চ। অবশেষে ঘোষণাটা চলেই এলো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলেই পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন ফিঞ্চ। রবিবার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলেন ফিঞ্চ। করেন ৫ রান। তবে অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জিতেই অবসর নেন ফিঞ্চ।
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অসি অধিনায়ক বলেছেন, ‘এটা দারুণ একটা সময় ছিল আমার জন্য। কিছু অবিশ্বাস্য স্মৃতি সঙ্গী করেছি। দুর্দান্ত একটি ওয়ানডে দলের অংশ হতে পেরে আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি। যাদের সঙ্গে খেলেছি কিংবা পেছন থেকে যাদের সহায়তা পেয়েছি এটি আমার জন্য আশীর্বাদের মতো। এই লম্বা সময়ে যারা আমাকে সমর্থন এবং সহায়তা করেছেন ক্যারিয়ারের এই সময়ে এসে সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
ফিঞ্চের যদিও লক্ষ্য ছিল ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলকে সার্ভিস দেবেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চরম পর্যায়ের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে নিজ থেকে দায়িত্ব ছেড়ে অবসর নিলেন এই ক্রিকেটার। ফিঞ্চ আশা করছেন, বিশ্বকাপের আগে নতুন কেউ ঠিকই এই জায়গা অর্জন করে নেবেন। এছাড়াও নতুন অধিনায়ককে সুযোগ দিতেই সরে দাঁড়ালেন এই ক্রিকেটার।
ফিঞ্চের ভাষ্যে, ‘এটাই সময় নতুন অধিনায়ককে যথেষ্ট সময় দেওয়ার। যাতে তিনি সামনের ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুতের পাশাপাশি দলকে শিরোপাও জেতাতে পারেন। আমি চাইলেই ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে অবসর নিতে পারতাম। মেলবোর্নের মাঠে বিদায়টা আমার জন্য রুপকথার মতোই হত, কিন্তু আমি মনে করি এটা কেবল নিজের চাওয়াই হতো। কিন্তু আমার জন্য নতুন অধিনায়ক এবং ওপেনারকে ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হওয়ার যথেষ্ট সময় দেওয়া উচিত ছিল। আর আমি জানি, আমার পক্ষে ততদিন নিজেকে টেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমার শরীর কিংবা ফর্মও সে কথা বলছে না।’
৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ১৪৬ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেই থেমে গেলেন ফিঞ্চ। ব্যাট হাতে ১৭টি সেঞ্চুরি, ৩০টি হাফসেঞ্চুরিতে ৩৯ এর বেশি গড় নিয়ে ৫৪০৬ রান করেছেন ফিঞ্চ। ওয়ানডেতে থামলেও টি-টোয়েন্টিতে নিজের ফর্ম আছে বলে এই ফরম্যাটে নিজের খেলা চালিয়ে যাবেন ফিঞ্চ। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিঞ্চের নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে বিগ ব্যাশ লিগের খেলাও চালিয়ে যাবেন তিনি। এরপর নিজের অবস্থা বুঝে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ২০১৩ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় ফিঞ্চের। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে ওয়ানডেতে চতুর্থ সর্বোচ্চ ১৭টি সেঞ্চুরিও রয়েছে ফিঞ্চের নামের পাশে। তার সামনে আছেন কেবল রিকি পন্টিং (২৯টি শতক) এবং ডেভিড ওয়ার্নার-মার্ক ওয়াহ (১৮টি)।