Search
Close this search box.

মানবিক রাষ্ট্রের সাথে কল্যাণরাষ্ট্রও গঠন করতে চায় সরকার – তথ্যমন্ত্রী

মানবিক রাষ্ট্রের সাথে কল্যাণরাষ্ট্রও গঠন করতে চায় সরকার - তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার – সরকার মানবিক রাষ্ট্র গঠন করার পাশাপাশি একটি সামাজিক কল্যাণরাষ্ট্রও গঠন করতে চায়। আমরা ভবিষ্যৎ পথচলায় দেশকে একটি সামাজিক কল্যাণকর রাষ্ট্র করতে চাই। এ লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ হলে গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ সব কথা বলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কাজী খালীকুজ্জামান আহমদের বর্নাঢ্য কর্মজীবনের ওপর রচিত ‘তারুণ্যে উদ্দীপ্ত বরেণ্য প্রবীণ বিদগ্ধজন’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি প্রোগ্রাম।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই একটি উন্নত রাষ্ট্র এবং একই সঙ্গে একটি মানবিক রাষ্ট্র। আর এই মানবিক রাষ্ট্র হতে হলে মানবিকতার বিকাশ দরকার। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এই বিষয় গুলো তুলে ধরা প্রয়োজন। সমাজকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে গুণী মানুষদের সম্মান করতে হয়। যে সমাজ গুণী মানুষের শ্রদ্ধা করে না সে সমাজে গুণী মানুষ তৈরি হয় না।

রাষ্ট্রের মানবিক হওয়ার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত রাষ্ট্র কি পাশ্চাত্যকে অন্ধ অনুকরণের মাধ্যমেই হবে? কেউ বয়ষ্ক হয়ে গেলে তার ঠিকানা হবে বৃদ্ধাশ্রমে। এটিই যেন নিয়তি। সমাজ তা মেনে নিয়েছে। এটি সমাজের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা কি এমনি একটি উন্নত রাষ্ট্র চাই! আমি অন্তত চাই না।

সমাজ পরিবর্তনের পেছনে তরুণ প্রজন্মের কী করণীয় তা উল্লেখ করে হাসান মাহমুদ বলেন, নতুন প্রজন্ম যদি গুরুজনদের সম্মান না করে, আর পিতা-মাতাকে বোঝা মনে করে, তাহলে তো মানবিক রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। তাই এদের নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। মানুষ ও রাজনীতিবিদরা যেন এগুলো নিয়ে চিন্তা করে। আমি জানি এই কথায় সমাজ পরিবর্তন হবে না। কিন্তু মানুষকে ভাবাবে। সবাই যদি ভাবে তাহলে আসলে পরিবর্তন হবে।

মন্ত্রী বলেছেন, রাজনৈতিক বক্তব্য সবসময় দেই, অনেক দিয়েছি। আজ একটু মানবিক ও মানুষের কথা বলি। সমাজ যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে গুণী মানুষকে সম্মান করতে হবে। যে সমাজ গুণী মানুষকে শ্রদ্ধা করে না, সে সমাজে গুণী তৈরি হয় না।

মানুষের মানবিকতা, মমত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বস্তুগত উন্নয়নের মাধ্যমে আজ মানুষও বস্তু হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বস্তুগত উন্নয়ন আর কিছু যন্ত্রের ব্যবহার- এ দুটির কারণে মানুষও বস্তু হয়ে যাচ্ছে এবং যন্ত্রের মতো আচরণ করছে। মানুষের মানবিকতা, মমত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সমাজও। আমরা উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার চিন্তা করি। তবে একটি উন্নত রাষ্ট্র হতে হলে আসলে যা হওয়া দরকার তা আমরা মানি না।
রাষ্ট্রকে মানবিক হওয়ার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ বয়স্ক হয়ে গেলে তার ঠিকানা হবে বৃদ্ধাশ্রম। এটিই যেন নিয়তি। সমাজ তা মেনে নিয়েছে, এটি সমাজের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা কি এমনি একটি উন্নত রাষ্ট্র চাই! আমি অন্তত চাই না। আমরা চাই একটি উন্নত রাষ্ট্র এবং একই সঙ্গে একটি মানবিক রাষ্ট্র। আর এই মানবিক রাষ্ট্র হতে হলে মানবিকতার বিকাশ দরকার। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এ বিষয়গুলো তুলে ধরা দরকার। যা কিনা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে না বলে আমি মনে করি।

সরকার সামাজিক কল্যাণরাষ্ট্র গঠন করতে চায় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার মানবিক রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি একটি সামাজিক কল্যাণরাষ্ট্রও গঠন করতে চায়। আমরা ভবিষ্যৎ পথচলায় দেশকে একটি সামাজিক কল্যাণকর রাষ্ট্র করতে চাই। এ লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, রাস্তা দিয়ে সারি-সারি গাড়ি চলে যাবে এবং রাস্তার পাশে একজন মানুষ হাত পেতে দাঁড়িয়ে থাকবে। আর কেউ তাকে সাহায্য করতে দাঁড়াবে না- এমন সমাজের তো দরকার নেই। উন্নত দেশ যেমন ইউরোপের মতো দেশগুলোতে যেখানে সামাজিক কল্যাণরাষ্ট্র আছে সেখানে রাষ্ট্র তাদের বাসস্থান এবং খাদ্য নিশ্চিত করেছে। কিছু কিছু দেশে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ। তবে যাদের ভিক্ষা করতে দেখা যায় তারা আসক্ত।

সমাজ পরিবর্তনের পেছনে তরুণ প্রজন্মের কী করণীয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, নতুন প্রজন্ম যদি গুরুজনদের সম্মান না করে, আর পিতা-মাতাকে বোঝা মনে করে তাহলে তো মানবিক রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। তাই এদের নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। মানুষ এবং রাজনীতিবিদরা যেন এগুলো নিয়ে চিন্তা করেন। আমি জানি এই কথায় সমাজ পরিবর্তন হবে না। কিন্তু মানুষ ভাববে। সবাই যদি ভাবে তাহলে আসলে পরিবর্তন হবে।

আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. মো আবদুল করিমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জামান, অধ্যাপক শফি আহমদ, প্রফেসর শেখ ইকরামূল কবির, মো. জামাল হোসেন, সোহরাব হাসান, পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর কাদের, অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ