Search
Close this search box.

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হাতের মুঠোয় দেশ ॥ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় ডিজিটাল বাংলাদেশ

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হাতের মুঠোয় দেশ ॥ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় ডিজিটাল বাংলাদেশ

আদনান ফয়সল

– তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিকদের বাঁচিয়েছে ১.৯২ বিলিয়নদিন, ৮.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ এবং ১ মিলিয়ন যাতায়াত

– বর্তমানে আইসিটি রপ্তানি থেকে আয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার এবং ২০২১ সালে লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের এক যুগের অভিযাত্রায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটেছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি নির্ভর নতুন নতুন উদ্ভাবন, নাগরিক সেবা এবং সরকারি-বেসরকারি খাতের সমৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেছে অবিস্মরণীয় বিপ্লব। সরকারের তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সেবার সম্প্রসারণের ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ কারিগরি খাতে এসেছে সমৃদ্ধি। শুধু শহরে নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন বিভিন্ন নাগরিক সেবা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, প্রশাসনিক কাঠামোতে স্বচ্ছতা ও দ্বায়বদ্ধতা এবং সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে সরকার হাতে নিয়েছিল ‘রূপকল্প-২০২১’। যা বাস্তবায়নের অন্যতম ও প্রধান মাধ্যম ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বা তথ্য প্রযুক্তিতে অগ্রগতি।
গবেষণায় দেখা গেছে, শুধুমাত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগের ফলে সেবা গ্রহণে নাগরিকদের ১.৯২ বিলিয়ন সময়, ৮.১৪ বিলিয়ন খরচ এবং ১ মিলিয়ন যাতায়াত হ্রাস পেয়েছে। সকল নাগরিক সুবিধা এবং জীবনযাপন পদ্ধতিতে এখন মুঠোফোন বা অনলাইনে অভ্যস্থ হয়ে উঠছে দেশের মানুষ। এক্ষেত্রে খুব সহজেই জনগণের হাতের মুঠোয় সেবা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ এর কারণে সমগ্র বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত, স্থবির হয়ে পড়েছিলো অর্থনীতিসহ সকল কার্যক্রম। ঠিক তখনও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে চলমান ছিলো রাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ, যার সুফল সরাসরি ভোগ করেছে দেশের মানুষ। করোনার প্রভাবে সৃষ্ট কর্মসংস্থান সংকট মোকাবেলায় দেশের আইসিটি খাত বর্তমান প্রজন্মের কাছে ভরসা ও আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির এমন অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার ফলে বাংলাদেশ পরিচিতি পাচ্ছে একটি স্বনির্ভর ও আত্মপ্রত্যয়ী দেশ হিসেবে এবং ২০২১ সালের পূর্বেই জনগণ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল গ্রহণ করতে পারছেন।

‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নে তথ্য-প্রযুক্তিবান্ধব সরকারের কার্যক্রম:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন; অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সমৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন। স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। নানা পরিবর্তন ও ক্রান্তিলগ্নের শেষে বর্তমান বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়ার প্রত্যয়ে। এ প্রত্যয়ের প্রাতিষ্ঠানিক নাম ‘রূপকল্প-২০২১’। যার বিনির্মাণ ঘটছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করে, ‘২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এ পরিণত হবে। এই ইশতেহারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখিয়েছেন ‘একটি উন্নত, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ জনগোষ্ঠী, উৎপাদনব্যবস্থারসমৃদ্ধিওসেবারমানবৃদ্ধিএবংজ্ঞানভিত্তিকসমাজের’।বাংলাদেশ সাম্প্রতিক ‘জনসংখ্যা জনসমিতি’র বিচারে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট’ এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশের মোট জনসংখ্যায় নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর চেয়ে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ইশতেহার এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট এর যথাযথ ব্যবহারের একটি কার্যকরি পদক্ষেপ। বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনেউৎসাহএবংতথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি, নতুন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক কাজের সহজলভ্যতার জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ দেশের জনগণের কাছে এখন একটি প্রিয় শব্দযূগল।

রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে ২২টি লক্ষ্য অর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: বিকাশমান অর্থনীতি, অংশীদারিত্বমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, নারীর সমঅধিকার, সুশাসন ও দূষণমুক্ত পরিবেশ। বর্তমান সরকারের দীর্ঘ সময়ের কর্মযাত্রায় ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এ লক্ষ্যমাত্রাগুলোর অধিকাংশই সফলভাবে অর্জিত হচ্ছে।সাধারণত যেসব তথ্য বা সেবার জন্য জনগণের যাতায়াত খরচ ও সময় নষ্ট হত, ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় তা অনলাইনেই হয়ে যাচ্ছে। সরকারও এর ফলে বেশি রাজস্ব আয় করছে। শুধুমাত্র সরকারি নয়, বেসরকারি খাতের সেবা ও উৎপাদনেওএসেছেনতুনমাত্রা।

তথ্য-প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের বৈশ্বিক স্বীকৃতি:
বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ ও যথোপযুক্ত সিদ্ধান্তের ফলে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ডব্লিউএসআইএস অ্যাওয়ার্ড, আইটিইউ অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড এবং অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কিছু সম্মানজনক স্বীকৃতি এর উদাহরণ। তরুণ প্রজন্ম কেবল চাকুরিমুখী না হয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিজেরাই গড়ে তুলছে ছোট-বড় আইটি প্রতিষ্ঠান, ই-কমার্স ব্যবসা, অ্যাপভিত্তিক সেবাসহ নানা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইটসহ কয়েকটি বড় প্রাপ্তি বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, “ডিজিটাল সেবার বিস্তৃতি ও উন্নতি ঘটিয়ে বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছরে জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট উন্নয়ন সূচকে সেরা ৫০টি দেশের তালিকায় থাকবে। জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট উন্নয়ন সূচকে জাতীয় ইনডেক্সে আমরা এখন ১১৯ নম্বরে আছি। আগামী পাঁচ বছরে আমরা আরও ৫০ ধাপ উন্নতি করে দুই অঙ্কের সংখ্যায় আসব, এমন লক্ষ্যমাত্রা আমাদের”।

‘করোনা সংকট’ মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তি:
বৈশ্বিক করোনাসংকট মোকাবেলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নানা উদ্যোগের ফলে মানুষ দেখেছে নতুন সম্ভাবনা। শুরুতেই নাগরিকদের জন্য করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনীয় পরামর্শ, করোনা সম্পর্কিত সকল সেবার হালনাগাদ তথ্যের জন্য করোনা পোর্টাল (িি.িপড়ৎড়হধ.মড়া.নফ) চালু করা হয়। এ বিভাগের আওতাধীন এটুআই-এর উদ্যোগ করোনা বিষয়ক তথ্যসেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা, সেলফ করোনা টেস্টিংসহ অনেকগুলো নতুন সেবা যুক্ত করা হয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে। এছাড়া প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে করোনা বিডি অ্যাপ এবং কন্টাক্ট ট্র্যাসিং অ্যাপ,ভলান্টিয়ার ডক্টরস পুল অ্যাপ, প্লাজমা ডোনেশন প্ল্যাটফর্ম, সেল্ফ টেস্টিং টুল, প্রবাস বন্ধু কলসেন্টার, ডিজিটাল ক্লাসরুম, ফুড ফর নেশন ও এডুকেশন ফর নেশনসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ‘হোম অফিস’ এর মাধ্যমে সচল ছিলো সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রম। এমনকি বিচার বিভাগও এটুআই-এর সহযোগিতায় ‘ভার্চুয়াল কোর্ট’ এর মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে বিচারিক কার্যক্রম।ঘরবন্দী জীবনেও নিশ্চিন্তে জনগণ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়েছে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে চালুকৃত বিভিন্ন অনলাইন শপগুলোর মাধ্যমে। এর মাধ্যমেসাধারণ মানুষ যেমন অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্থ হয়েছে, একই সাথে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়িক কার্যক্রমেও অনলাইনের উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি।

সরকারি সেবা গ্রহণে স্বচ্ছতা, সহজলভ্যতা ও নিরাপত্তা:

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরের সেবা সহজিকরণের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েসরকারি সেবা হয়ে উঠছে সহজ এবং নিরাপদ।ঘরে বসে দেশ-বিদেশে চাকরির নিবন্ধন, হজযাত্রার নিবন্ধন, বিভিন্ন ধরনের দাপ্তরিক ফরম, ট্যাক্স, জাতীয় পরিচয়পত্র, ভূমি রেকর্ড ডিজিটালকরণ, ই-গভর্ন্যান্স ও ই-সেবা, টেন্ডার বা দরপত্রে অংশগ্রহণ ইত্যাদি কাজকর্ম অনলাইনেই সম্পন্ন করা যাচ্ছেএখন।এছাড়া এটুআই এর সহায়তায় ই-নথি, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, মাইগভ অ্যাপ, একসেবা, একপে, ডিজিটাল সেন্টার, ই-নামজারি, আরএস খতিয়ান সিস্টেম, অনলাইন গ্রিভেন্স রিড্রেস সিস্টেম, জিটুপি পদ্ধতিতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভাতা প্রদান ইত্যাদি প্লাটফর্মগুলো সরকারি বিভিন্ন সেবাকে নাগরিকদের জন্য আরো সহজ করে তুলেছে।

কানেক্টিং বাংলাদেশ:
সরকারের সকল দপ্তরকে একীভূত নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে ৫৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ ২৪০টি সরকারি দপ্তর এবং ৬৪ জেলা ও নির্বাচিত ৬৪টি উপজেলায় নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ১৮,৪৩৪টি সরকারি অফিসকে একীভূত নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে ও ৮০০+ গুরত্বপূর্ণ দপ্তরে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যন্ত সরকারি দপ্তরসমূহে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল দ্বারা সংযুক্ত করা হয়েছে। দেশের প্রান্তিক জনপদে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা সরবরাহের লক্ষ্যে ২,৬০০ ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১,০০০ পুলিশ স্টেশনে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়াও, ২২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ওয়াইফাই জোন স্থাপন করে জনগণকে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদসমূহকে সংযুক্ত করতে ১৯,৫০০ কি.মি. অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।দুর্গম এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন (কানেক্টেড বাংলাদেশ) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৭৭২টি দূর্গম ইউনিয়নকে এই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। এর ফলে বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় আসবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা দেশের উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চলে সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় মহেশখালী দ্বীপে তিনটি নির্বাচিত ইউনিয়নের ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা সম্প্রসারণ করা হয়। এ সুবিধা ব্যবহার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও ই-কমার্স কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে ডাটা সেন্টার উন্নয়ন:
ই-গভর্মেন্ট বাস্তবায়নে বিদ্যমান ডাটা সেন্টারের হোস্টিং ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠানের ডাটা সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে স্থাপিত ডাটা সেন্টারের সম্প্রসারণ করে ২০৬টি রেক স্পেসের ক্ষমতায় উন্নীত করা হয়েছে। এতে সরকারি ওয়েব সাইট (৬২৭টি), ই-মেইল হোস্টিং সার্ভিস (৭৭৩৪৯টি ই-মেইল একাউন্ট), বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকার তথ্যভান্ডার, ই-সেবা সংক্রান্ত কার্যক্রম, জাতীয় তথ্য বাতায়ন (৫১ হাজারের অধিক সরকারি দপ্তরের তথ্য বাতায়ন), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ই-ভ্যাট, ই-ট্যাক্স ইত্যাদি সিস্টেম, অর্থ বিভাগের অনলাইন বেতন ও পেনশন নির্ধারণী সিস্টেম হোস্টিং করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকর্তৃকস্থাপিতটায়ার থ্রি ডাটা সেন্টারটি ওঝঙ-২৭০০১; ওঝঙ-২০০০০ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে। দুর্যোগকালীন সময়ে জাতীয় ডাটা সেন্টারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা ও তথ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য শেখ হাসিনা সফ্টওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, যশোর-এ ৩ পেটাবাইট স্টোরেজ ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজাস্টার রিকভারি ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আরেকটি বড় অর্জনের তালিকায় যোগ হচ্ছে টিয়ার ফোর জাতীয় ডাটা সেন্টার (ঞরবৎ-ওঠ ঘধঃরড়হধষ উধঃধ ঈবহঃৎব)। তথ্য সুরক্ষা ও অধিক হোস্টিং ক্ষমতার এই ডাটা সেন্টারটি আন্তর্জাতিক মানের এবংযুক্তরাষ্ট্রের আপটাইম ইনস্টিটিউট থেকে এর ডিজাইন অনুমোদিত হয়। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে এই ডাটা সেন্টারটি স্থাপিত হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় ডাটা সেন্টার দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে।

তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা:
সরকারের তথ্যপ্রযুক্তির নানা উদ্যোগের ফলে শিক্ষা কার্যক্রম এখন অনেকাংশেই সহজতর হয়েছে, পেয়েছে বৈশ্বিক মান। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন কারিগরি ও অনলাইন প্রযুক্তিগত ডিজিটাল জ্ঞান তৈরি করছে নানা কর্মসংস্থান।‘তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা নয়, শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার’-এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো সহজ করে তুলতে এটুআই-এর সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে ‘কিশোর বাতায়ন’ ও ‘শিক্ষক বাতায়ন’ এর মত প্ল্যাটফর্ম। এ প্ল্যাটফর্মগুলোর ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিভিন্ন অনলাইন কন্টেন্ট থেকে নিত্য নতুন জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া রয়েছে ‘মুক্তপাঠ’ নামক বাংলা ভাষায় সর্ব বৃহৎই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম। যেখানে অনলাইনে সাধারণ, কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও জীবনমুখী শিক্ষার সুযোগ রয়েছে।

প্রযুক্তির কৃষি ও কৃষকের নতুন দিন:
কৃষি প্রধান বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকের মাঝে সহজ ও দ্রুত সময়ে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে উদ্ভাবন করা হয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সেবা ‘কৃষি বাতায়ন’ এবং ‘কৃষক বন্ধু কলসেন্টার’। সরকারের বিভিন্ন কৃষি বিষয়ক সেবাগুলোর জন্য কলসেন্টার হিসেবে কাজ করছে ‘কৃষক বন্ধু কলসেন্টার’ (৩৩৩১ কলসেন্টার)। ফলে সহজেই কৃষকেরা ঘরে বসে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন সেবা ও তথ্য সম্পর্কে জানতে পারছে ‘কৃষি বাতায়নে’। কৃষি পণ্য বিপণন এবং আর্থিক লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিং কৃষকবান্ধব হিসেবে কাজ করে চলেছে।

বিড়ম্বনাহীন চিকিৎসাসেবা:
প্রযুক্তি চিকিৎসাসেবাকেএনেদিয়েছেভিন্নমাত্রা।টেলিমেডিসিনসেবাদ্রুতওজরুরিচিকিৎসাসেবাকেসহজকরেদিয়েছে।ফলে, সিরিয়াল নেয়া বা সময়ক্ষেপণ না করে রোগী মোবাইলে ঘরে বসেই জরুরি চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারছেন। করোনার প্রকোপের সময়ে এ পদ্ধতিতেই সাধারণ মানুষ জরুরী চিকিৎসাসেবাগ্রহণকরেছে।এটুআই-এরসহযোগিতায়বঙ্গবন্ধুশেখমুজিবররহমানমেডিকেলবিশ্ববিদ্যালয়চালুকরেছেস্পেশালাইডটেলিহেলথসেন্টার।প্রবাসীদেরজন্যচালুকরাহয়েছেপ্রবাসবন্ধুকলসেন্টার। এটুআই, আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নাগরিকদের স্বল্পমূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানে চালু হয়েছে ই-হেলথ্ সার্ভিস কোঅর্ডিনেশন ইউনিট।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান:
তথ্যপ্রযুক্তির ফলে নতুন কর্মসংস্থান এবং দক্ষ জনবল তৈরি হচ্ছে। কেবল স্থানীয় সেবাই নয়, এর ফলে আন্তর্জাতিক পরিসরে ফ্রিল্যান্সিং করেও কর্মঠ প্রজন্ম উপার্জন করছে বৈদেশিক মুদ্রা। বর্তমানে বাংলাদেশ আইসিটিখাতে রপ্তানি আয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ এ আয় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারে উত্তীর্ণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রযুক্তির বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। এ জন্য দেশব্যাপী ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ০৪টি পার্কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২১টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৫ সাল হতে শুরু করে এ পর্যন্ত বিভিন্ন পার্কে প্রায় ৮ লক্ষ বর্গফুট স্পেস তৈরি করা হয়েছে এবং আগামী ২০২১ এর মধ্যে দেশে আরো প্রায় ৯ লক্ষ বর্গফুট স্পেস তৈরী হবে।গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে হাই-টেক পার্কে বর্তমানে ৩৭টি কোম্পানি কাজ করছে। এখানে মোবাইল ফোন সংযোজন, অপটিক্যাল ফাইবার, কিয়স্ক মেশিন, ডায়ালাইসিসি মেশিন সংযোজনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পণ্য উৎপাদিতহচ্ছে।বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ-এর বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে ১২ হাজারের অধিক জনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ৪০ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এছাড়া হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ হতে আইওটি, ব্লকচেইন, রবোটিক্স ইত্যাদি বিষয়েও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে গড়ে উঠা ১২টি সফটওয়ার টেকনোলজি পার্কে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।এ পর্যন্ত ১১০টি প্রতিষ্ঠান হাই-টেক পার্কে ৩৮.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।এখানে সবার একটাই ইচ্ছা, তা হলো অর্থনৈতিক-সামাজিক উন্নয়নে প্রযুক্তি ব্যবহার করা। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হাই-টেক পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। যার মধ্যে যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণের কাজ সমাপ্তির পথে। এ পার্ক সংলগ্ন স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে কন্টেইনার ভিত্তিক ডিজাস্টর রিকভারি সেন্টার যা এশিয়ায় প্রথম। এছাড়াও, পর্যায়ক্রমে জেলা শহরগুলোতেও হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়ার টেকনোলজি পার্কে স্টার্ট আপদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাসহ বিনা ভাড়ায় স্পেস দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশে স্টার্ট আপ তথা ইনোভেশন কালচার গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও তাদের মেনটরশিপ প্রদান করা হচ্ছে। স্টার্ট আপসহ বিভিন্ন ছোট ছোট কোম্পানীগুলোকে বিশ্বে আইটি ব্যবসার গতি প্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন ইভেন্টে যোগদানের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা:
তথ্যপ্রযুক্তি দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত করেছে মোবাইল ব্যাংকিং। এর ফলে দ্রুত দেশের যে কোন প্রান্তে অর্থনৈতিক লেনদেনের সুবিধা সাধারণ মানুষের জীবনে এনে দিয়েছে স্বস্তি। এছাড়া এটুআই-এর সহায়তায় ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং এর ফলে ব্যাংকিং কার্যক্রম পৌঁছে গেছে শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত। দেশের ই-কমার্স ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামীণ ই-কমার্স প্লাটফর্ম ‘একশপ’। যেখানে গ্রামীণ উৎপাদনকারীরানিজেদেরপণ্যবিক্রিকরতেপারছেনকোনমধ্যস্বত্ত্বভোগীছাড়াই।

বিচারিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা:
২০০ বছরেরও অধিককাল ধরে বিদ্যমান বিচারিক কার্যক্রমকে ডিজিটাইজের ছোঁয়া দিতে তৈরি করা হয়েছে বিচার বিভাগীয় বাতায়ন। যার মাধ্যমে উচ্চ ও অধস্তন আদালতের বিচার বিভাগের সকল কার্যক্রম নথিভুক্ত থাকবে। এছাড়া করোনার প্রকোপের সময়ে ‘ভার্চুয়াল কোর্ট’ বিচারিক কার্যক্রমের স্থবিরতা নিরসনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

বেকার বিমোচনে স্টার্টআপ:
‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ এর মাধ্যমে সরকারি সহায়তা লাভের পথও সুগম হচ্ছে। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠার পর স্টার্টআপ মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে সিড স্টেজে সর্বোচ্চ এক কোটি এবং গ্রোথ গাইডেড স্টার্টআপ রাউন্ডে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা যাবে। ইতোমধ্যে শতাধিক স্টার্টআপ-কে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

ফেসবুক কমার্স জগতে বাংলাদেশ:
সাম্প্রতিক এফ-কমার্স এর ব্যাপক বিস্তৃতিতে মূল ধারার ব্যবসায়ীরাও প্রযুক্তির সহায়তা নিতে এফ-কমার্সমুখী হচ্ছেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অন্য বড় অগ্রগতি হয়েছে নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে যুক্ত করার বিষয়টি। এছাড়া ই-কমার্স ও এফ-কমার্স খাত প্রসারের ফলে নারী উদ্যোক্তাদের উপস্থিতি বাড়ছে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্য বলছে, এখন দেশে প্রায় ২০ হাজার ফেসবুক পেজে কেনাকাটা চলছে। এর মধ্যে ১২ হাজার পেজ চালাচ্ছেন নারীরা। ফেসবুককে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে স্বল্প পুঁজিতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন নারীরা।

তথ্যপ্রযুক্তিখাতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সম্ভাবনার নতুন দুয়ার:
আইসিটি বিভাগ তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার তৈরি করে আসছে। বর্তমান বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তুলে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে কাজে লাগাতে পারলে অচিরেই বাংলাদেশে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। যার ফলে স্থিতিশীলতা আসবে সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও। স্বাধীনতা পেরিয়ে প্রায় চার দশক অতিবাহিত করছে বাঙালি জাতি। বর্তমান সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে, তা শুধু স্বপ্ন বা স্লোগানই নয়, বরং তা আজ দৃশ্যমান। যার সুফল ভোগ করছে দেশের প্রতিটি মানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যের অন্যতম মাধ্যম তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ। সরকারের এ কর্মযজ্ঞে আরো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বনির্ভর ও আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ।

লেখক- ন্যাশনাল কনসালটেন্ট – কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মিডিয়া আউটরীচ, এটুআই

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ