বিনোদন ডেস্ক- দেশব্যাপী মহাসমারোহে চলছে র্যাব ওয়েলফেয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি প্রয়োজিত সিনেমা “অপারেশন সুন্দরবন”। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন দীপংকর দীপন। এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে এবং যারা এই চলচ্চিত্রটি দেখছেন তারা এই চলচ্চিত্রটির উচ্ছাসিত প্রশংসা করেছেন।
“অপারেশন সুন্দরবন” টিম সব সময় সুন্দরবনের প্রকৃতি এবং সুন্দরবনের প্রাণি রক্ষার ক্ষেত্রে সমান পরিমানে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় টিম ‘অপারেশন সুন্দরবন’ রাজধানীর চিত্রামহল, মধুমিতা ও লায়ন সিনেমা হলে “সুন্দরবনের বাঘ এলো সিনেমা ভ্রমণে” নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করতে যাচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনটি শুরু হচ্ছে ধোলাইপাড় রোডের চিত্রা সিনেমা হল থেকে।
প্রতিটি সিনেমা হলে একটি করে টাইগার বুথ থাকবে যেখানে সোনা, রূপা এবং হিরা নামে তিনটি বাঘ থাকবে। এই তিনটি বাঘ দর্শকদের স¦াগত জানাবে এবং এই তিনটি বাঘ দর্শকদের সিনেমা দেখতে আসতে বলবে। শিশু-কিশোররা বাঘের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং তারা এসে বাঘের সাথে ছবি তুলবে এবং সেই ছবি “অপারেশন সুন্দরবন” এর অফিসিয়াল পেজে পাঠালে পেজ থেকে সেই ছবি প্রকাশ করা হবে। এভাবে শিশু-কিশোরদের মধ্যে সুন্দরবনের বাঘ, প্রকৃতি এবং প্রাণি সম্পর্কে আগ্রহ বাড়বে এবং এদের সংরক্ষণের মানসিকতা বাড়বে।
এপ্রেক্ষিতে চিত্রনায়ক সিয়াম সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করে বলেন, সুন্দরবনের বাঘ বাঁচলে সুন্দরবন বাঁচবে আর সুন্দরবন বাঁচলে আমাদের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল রক্ষা পাবে, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পাবে। চিত্রনায়ক জিয়াউল হোসেন রোশন বলেন ছবিটির স্যুটিং এর সময় সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশের যেন কোন ক্ষতি না হয় সে সম্বন্ধে বার বার লক্ষ রাখা হয়েছে।
সুন্দরবনের প্রকৃতি এবং প্রাণীকূলের তার প্রতি অসীম ভালবাসা রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দেশের সকল মানুষের মনে যেন এ ভালবাসা পৌঁছে যায়। চলচ্চিত্রটির পরিচালক দীপংকর দীপন বলেন, অপারেশন সুন্দরবন চলচ্চিত্রে বিভিন্ন পশু পাখিকে দেখানো হয়েছে, পশু-পাখির প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য। সুন্দরবনের বাঘ, প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দরবনেই মানানসই এবং সুন্দরবনের বাঘ এবং অন্যান্য পশু-পাখিকে যেন সেখানে স্বযতেœ থাকতে দেয়া হয়। সুন্দরবনে বাঘের পরিবেশ রক্ষার জন্য যেসব বিষয় প্রয়োজন তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে তিনি আহবান জানান। পাশাপাশি সুন্দরবনের বাঘ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই ক্যাম্পেইনটি চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ প্রসংগে চলচ্চিত্রটির প্রযোজক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে আমরা সুন্দববনের প্রকৃতি এবং জীব বৈচিত্র রক্ষায় সাধারণ মানুষকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছি। পাশাপাশি এই চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে এ অঞ্চলে জীববৈচিত্র এবং প্রকৃতি রক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুযোর্গ থেকে রক্ষা করতে সুন্দরবন অনাধিকাল হতে যে ভ‚মিকা রেখেছে চলেছে তা সকলকে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। এই আয়োজনে টীম অপারেশন সুন্দরবন সিনেমা হলগুলোতে এসে টাইগার বুথের পাশে শিশু-কিশোরদের ছবি তোলা এবং ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমা দেখার আহবান জানায়।