স্টাফ রির্পোটার – মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, এ সরকারের মেয়াদেই রাজাকারের তালিকা তৈরি করা হবে। নীতিমালা না থাকায় এতদিন রাজাকারের তালিকা তৈরি করার আইনগত ভিত্তি ছিল না।
গত সংসদে তালিকা করার ব্যপারে আইন পাস করা হয়েছে। এখন তালিকা করতে আর কোনো বাধা নেই। নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে কি ভাবে এ তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
রবিবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, নীতিমালা তৈরি করার পর তালিকা প্রস্তুত করার জন্য সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান এমপিকে কমিটির অহ্বায়ক করা হয়েছে। তালিকা প্রস্তুত করতে আরও এক মাসের মতো সময় লাগবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্য দের রূহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অপর একটি অনুষ্ঠানে মহাত্মা গান্ধীকে নোবেল না দেওয়া লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ।
তিনি বলেন,মহাত্মা গান্ধীকে নোবেল পুরস্কার না দেওয়া নোবেল কমিটি ও পৃথিবীবাসীর জন্য লজ্জাজনক । শনিবার বিশ্ব অহিংস দিবস-২০২২ উপলক্ষে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমান সহিংস বিশ্বে মহাত্মা গান্ধীর মতো অহিংস নেতার বড়ই প্রয়োজন। অনেক অখ্যাত ও সহিংস নেতা নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কিন্তু মহাত্মা গান্ধীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী শুধু ভারতীয়দের নেতা না, তিনি ছিলেন পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষের পথপ্রদর্শক। মহাত্মা গান্ধীর জন্যই যুদ্ধ না করেও ভারতের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশদের জেল-জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়ন, খুন, লুণ্ঠন, জবরদখল, ষড়যন্ত্র, অপকর্ম ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে নিরলস লড়াইয়ে গান্ধীর অহিংসবাদই ছিল একমাত্র হাতিয়ার। সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর নিম চন্দ্র ভৌমিক।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব প্রফেসর কামরুল হাসান এবং ওলামা লীগ সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন।