স্টাফ রিপোর্টার- গণতন্ত্র ও নির্বাচন ইস্যুতে সরব বিদেশি কূটনীতিকদের কেউ সীমা লঙ্ঘন করলে সরকার ভিন্ন চিন্তা করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের জয়, সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটসহ সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশিদের মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাঁরা কতটুকু বলতে পারবেন। তাঁদের দেশে অন্য দেশের কূটনীতিকরা ঠিক কতটুকু বলার অধিকার রাখেন? তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে, তাঁদের কোনো কিছুই যেন শিষ্টাচারের বাইরে না যায়। কূটনীতিকদের বাংলাদেশের সম্পর্কে বক্তব্য রাখার সময় তাঁদের সীমার বিষয়টি দফায় দফায় স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। তাঁরা ‘সীমা অতিক্রম করে যেতে থাকলে’ বিভিন্ন দপ্তরে তাঁদের প্রবেশাধিকার সীমিত করার ইঙ্গিতও দেন সরকারের এ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা যেভাবে অতিথিপরায়ণ হয়ে সব দেশের রাষ্ট্রদূতের জন্য আমাদের দেশের দপ্তরগুলোর দরজা খোলা রাখি, সব মন্ত্রণালয়, সকল অধিদপ্তর, সব বিভাগের জন্য এটা প্রযোজ্য, এটা যেন তাঁরা অতিক্রম না করেন। যদি করেন তবে আমরা অন্য কিছু ভাবব।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের একটি বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘যতই সমালোচনা হোক, বন্ধু হিসেবে আমরা বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলবই।’ এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি যেহেতু নিজের কানে শুনিনি, গণমাধ্যমে এটা এসেছে এবং আগেও তাঁর বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক হয়েছে, তাই আমি এটা গ্রহণ করছি না। এ নিয়ে কোনো মন্তব্যও করছি না। তবে খতিয়ে দেখব।
শাহরিয়ার আলম বলেন, কাউকে নির্বাচনে আনার নিশ্চয়তা সরকার দিতে পারবে না। এটাই তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ে সে দেশের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরমেনের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে শেরমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হোক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জবাবে আমি বলেছি, নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও স্বচ্ছ হবে। কিন্তু আমরা এটা নিশ্চিত করতে পারব না, কে নির্বাচনে আসবে, কে আসবে না।
২০১৪ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচন যেভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল আগামী নির্বাচনও সেভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে।