স্টাফ রিপোর্টার- চট্টগ্রামে পৃথকভাবে ফিশিং ট্রলার ও লাইটারেজ জাহাজডুবির ঘটনায় আরও ৩ নাবিকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তিন জনই লাইটারেজ জাহাজের নাবিক বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
দুর্ঘটনায় মাছ ধরার ট্রলারের ৭ জন ও জাহাজের ৬ জনসহ মোট ১৩ নাবিক নিখোঁজ ছিল। এর মধ্যে, বৃহস্পতিবার ট্রলারের পাঁচ নাবিকের লাশ উদ্ধার হয়। এখনও নিখোঁজ আছেন মোট ৫ জন।
বুধবার বিকেলে নগরীর পতেঙ্গার কাটগড়ে চরপাড়া ঘাটের অদূরে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে বঙ্গোপসাগরে পাথরবোঝাই লাইটারেজ জাহাজ ‘এমভি সুলতান সানজানা’ডুবে যায়। জাহাজে মোট ৯ জন ছিল। কোস্টগার্ড জীবিত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করেছিল।
কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আল আমিন বলেন, ‘নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে তিনজনের লাশ শুক্রবার পেয়েছি। ঘটনাস্থলের আশপাশেই লাশগুলো ভেসে আসে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে লাশ তিনটি উদ্ধার করি। তবে চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। নৌ পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে লাশ শনাক্ত করবেন।’
নিখোঁজ আরও তিনজনকে উদ্ধারে সাগরে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা।
এদিকে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকার সি-রিসোর্স ঘাট বরাবর সংলগ্ন বয়া এলাকায় র্যাংঙ্কন কোম্পানির মালিকানাধীন ‘এমবি মাগফেরাত’নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার নদীতে ডুবে যায়। ট্রলারটি মেরামতের জন্য ডকে তোলার সময় প্রপেলার (পাখা) খুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে থাকা বয়া এবং আরও কয়েকটি ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল।
জাহাজটিতে মোট ১৬ জন নাবিক ছিল। এর মধ্যে ৯ জন নিরাপদে তীরে উঠতে সক্ষম হন। নিখোঁজ ছিলেন ৭ জন।
এদের মধ্যে পাঁচজনের লাশ বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয়। এরা হলেন- ট্রলারের ক্যাপ্টেন ফারুক বিন আবদুল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার জহিরুল ইসলাম, চীফ অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, ফিশ মাস্টার জহির উদ্দিন এবং ডক সদস্য রহমত।
ওই ট্রলারের গ্রিজার প্রদীপ চৌধুরী এবং রাকিব নামে এক নাবিকের বাবা খোরশেদ আলম এখনও নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ।