Search
Close this search box.

আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই –ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনাকে বলছি, পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকার দিন। আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।

শনিবার বিকেলে খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আপনারা (বিএনপি নেতাকর্মীরা) অসাধ্যকে সাধন করেছেন। তিন দিন ধরে জল-স্থল সবখানে গণপরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। গত দুদিন ধরে লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও কি সরকার এই জনসমাবেশকে বাধা দিতে পেরেছে। ইতিহাস বলে, জনগণের ন্যায়সঙ্গত যে দাবি, তা হামলা করে দাবিয়ে রাখা যায় না।

তিনি বলেন, গত দুদিন ধরে ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। বিএনপির মিছিলে গুলি করা হয়েছে। ২০ জন গুলিবিদ্ধ। সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের নৌকা ডুবিয়ে দিয়ে কয়েকশ নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। গাজীর হাটে একজন নেতা পানিতে ডুবে গেছে। এখনও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজকে নেতাকর্মীরা লড়াই করেই এখানে উপস্থিত হয়েছেন।

পুলিশের গুলিতে নিহত নেতাদের স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গুলির সামনে, বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। কারণ তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। ক্ষমতায় এসে বিচারপতি খায়রুল হককে দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করে চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত করেছে। আমাদের সকল গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন। অন্যথায় পালাবার পথ পাবেন না।

বিএনপির নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, ভয়াবহ নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আপনাদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। কষ্ট করে আজকে আপনারা এই সমাবশে এসেছেন। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

এদিকে খুলনা রেলস্টেশনে দরজার গ্লাস ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।

স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি করেছে। এর জের ধরে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা স্টেশনের গ্লাস ভাঙচুর করে। পুলিশকে খবর দিলে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। হট্টগোল করতে থাকে।

এ ঘটনার পর রেলওয়ে স্টেশনে বিপুল পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে। তখন বিপরীত দিকে অবস্থান নিয়ে সমাবেশে আসা লোকজন বিক্ষোভ করতে থাকে।

এদিকে খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সোনালী সেন বলেন, ‘সমাবেশে আগতরা রেলস্টেশনে অপেক্ষা করছিল। সেখানে ডিউটি পুলিশ তাদের এলাকা ত্যাগ করতে বললে তারা পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ