স্টাফ রিপোর্টার- শিল্প মন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, `রমজানকে সামনে রেখে দেশে পর্যাপ্ত চিনি মজুত আছে, এরপরও আরো এক লাখ টন চিনির আমদানি করা হবে। বর্তমানে চিনির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে, অচিরেই সেই সংকট দূর করা হবে।
শনিবার দুপুরে সার্কিট হাউসে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করণে রাজশাহীর ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিনির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিতে কাজ করছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কেউ এখন দেশের জন্য চিন্তা করতে হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, এদেশের দাম বাড়ানো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। তবে সারাদেশে বাজার মনিটরিং এর কাজ চলছে, সে মনিটরিং দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলন, আমাদের পরিসংখ্যান মতে বাজারে পর্যাপ্ত চিনি মজুত আছে। আগামী রমজান পর্যন্ত এই মজুত পর্যাপ্ত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করছেন। এ অবস্থায় বাজারে যেন চিনির সঙ্কট না হয় সেজন্য সরকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আরও চিনি এনে রাখার জন্য বলেছে। পরিবেশ বান্ধব শিল্পের মাধ্যমে রাজশাহী শহরকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়েই আলোচনা করতে এসেছেন বলেও সভায় জানান মন্ত্রী।
রাজশাহী একটা নান্দনিক শহর উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসব দাবি-দাওয়া উঠে এসেছে সেগুলো নিয়ে এখন আমি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খাইরুজ্জামান লিটন প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত যেসব কলকারখানা আছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
যেসব কলকারখানার যন্ত্রপাতি পুরনো হয়ে গেছে সেখানে নতুন যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে। এসব কল কারখানা চালুর জন্য দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। পিপিপির (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মাধ্যমে এগুলো চালু করা হবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরুল্লাহ, মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।