স্টাফ রিপোর্টার- রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করবে বিএনপি। আগামী সোমবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেবেন দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শায়রুল বলেন, রূপরেখা ঘোষণা অনুষ্ঠানে সমমনা রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, দল সমর্থিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ভয়াবহ সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত রেখে রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশে গুম, খুন, অপহরণ, হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন নিপীড়নের মাধ্যমে এক নাৎসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ এবং মানবিক মর্যাদা ভূলন্ঠিত করে দেশে এক ভয়াল পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ধরনের সহিংস জুলুম ও রক্তপাতের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির র্যালীতে আওয়ামী লীগ হামলা করেছে দাবি করে এই বিবৃতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার খোকসায় দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় পতাকা নামিয়ে কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেওয়া। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৮ জন নেতাকর্মীক গ্রেপ্তার করে। কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্মৃতিসৌধে যেতে বাধা প্রদান করা হয়। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের রামগতি, নড়াইলে, যশোর ও পাবনা জেলায় বাধা দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বিএনপি।
বিবৃতিতে বলা হয়, মহান বিজয় দিবসে শান্তিপূর্ণভাবে স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করতে গেলে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা আবারও প্রমাণিত হলো তারা দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এবং একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সারাদেশকে তারা সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশের ওপর কেবল বাধাই দেওয়া হচ্ছে না বরং যে কোনো জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে কাপুরুষোচিত হামলা চালানো হচ্ছে। নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করা হচ্ছে।