Search
Close this search box.

দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে চট্টগ্রামের জয়

বাসস – দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে জয় পেয়েছে চঃট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।  খুলনা টাইগার্সের পাকিস্তানী ব্যাটার আজম খানের শত রানকে ম্লান  করে সেঞ্চুরি  হাকিয়ে  বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের নবম আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে প্রথম জয় এনে দিলেন  পাকিস্তানের  আরেক  ব্যাটার উসমান খান।  তার অনবদ্য ১০৩ রানের সুবাদে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে  চট্টগ্রাম।
এবারের বিপিএল ও সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ক্যারিয়ারে আজমের  প্রথম সেঞ্চুরিতে  আসরের ষষ্ঠ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করে খুলনা। ৫৮ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মঈন খানের ছেলে আজম। জবাবে আরেক পাকিস্তানী উসমানের অপরাজিত ১০৩ রানের সুবাদে জয় নিশ্চিত হয় চট্টগ্রামের।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোম।
পাকিস্তানের শারজিল খানকে নিয়ে খুলনা টাইগার্সের ইনিংস শুরু করেন তামিম ইকবাল। ৪ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারায় খুলনা। শারজিলকে ৫ রানে শুভাগত ও হাবিবুর রহমানকে ৬ রানে আউট করেন পেসার আবু জায়েদ।
শুরুর ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়েন তামিম ও আজম। জুটির শুরুতে বেশ  সাবধানী ছিলেন তারা। পাওয়ার-প্লেতে ৩৯ রান ও ১০ ওভার শেষে ৬৫ রান পায় খুলনা। ১৪তম ওভারে ৯৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে ১১তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন আজম। এজন্য ৩৩ বল খেলেন তিনি। একই  ওভারে খুলনার স্কোর তিন অংক স্পর্শ করে।
১৫তম ওভারের প্রথম বলে শ্রীলংকার স্পিনার বিজয়াকান্ত বিয়াস্কান্তের বলে উইকেট থেকে সরে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হলে ৩৭ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪০ রানে তামিমের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।  তৃতীয় উইকেটে আজমের সাথে ৬২ বলে ৯২ রান যোগ করেন তামিম।
তামিম ফেরার পর ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন আজম। মাঝে অধিনায়ক ইয়াসির ১ ও সাব্বির রহমান ১০ রানে আউট হন।  ইনিংসের ১৯তম ওভার শেষে ৯২ রানে পৌঁছে যান আজম। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি করেন আজম। ৫৭ বলে এবারের আসরে প্রথম ও সবমিলিয়ে ২৬তম  সেঞ্চুরি  পুর্ন করেন  আজম।
আহমেদ শেহজাদের পর বিপিএলে দ্বিতীয় পাকিস্তানী হিসেবে সেঞ্চুরির তালিকায় নাম তুলেন ২৪ বছর বয়সী আজম।
ইনিংসের শেষ বলেও ছক্কা মারেন আজম। এতে ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করে খুলনা। ৫৮ বল খেলে  ৯ বাউন্ডারি ও ৮ ওভার বাউন্ডারিতে  ১৮৮ স্ট্রাইক রেটে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন আজম। চট্টগ্রামের আবু জায়েদ ২ উইকেট নেন।
আজম ঝড়ে ১৭৯ রানের টার্গেটকে সামনে পেয়ে চট্টগ্রামের পক্ষে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী হয়ে উঠেন দুই ওপেনার পাকিস্তানের উসমান খান ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স ও’দাউদ। পাওয়ার প্লেতে অর্ধ শতকের পর   ১৩তম ওভারে দলের রান তিন অংকে নেন উসমান-ও’দাউদ জুটি। একই  ওভারের শেষ বলে চার মেরে ৮ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন ৩৪ বল  খেলা উসমান।
পরের ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারিতে ১২তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন দেশের হয়ে ৫৮টি টি-টোয়েন্টি খেলা ও’দাউদ।
১৫তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৪১ রানে ভাঙ্গে চট্টগ্রামের ওপেনিং জুটি। স্পিনার নাহিদুলের বলে আউট হবার আগে ৫০ বলে খেলে ৫টি চার ও ৩টি ছয়ে ৫৮ রান করেন ও’দাউদ।
ও’দাউদ আউট হওয়ার সময় জয় থেকে  ৩০ বলে ৩৮ রান  দূরে চট্টগ্রাম। তবে  দলকে ঠিকই  জয়ের পথে রাখেন  উসমান। সেই সাথে সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগান তিনি। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি করেন উসমান। এজন্য ৫৫ বল খেলেন তিনি।
উসমানের সেঞ্চুরির পর শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে জয় নিশ্চিত হয় চট্টগ্রামের। ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৮ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন উসমান। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিন নম্বরে নামা আফিফ।
বিপিএলের ইতিহাসে একই ম্যাচে দুই দলের দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরির তৃতীয় ঘটনা এটি। ২০২২ সালে বিপিএলের ১০ম ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার বিপক্ষে সিলেট সানরাইজার্সের হয়ে সেঞ্চুরি করে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডন সিমন্স। একই ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে ঢাকার পক্ষে সেঞ্চুরি করে ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম ইকবাল।  ম্যাচে ৯ উইকেটে জয় পায় ঢাকা।
সে আসরের ৩০তম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সেঞ্চুরি তুলে ১০১ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু-প্লেসিস।  ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে অপরাজিত ১০১ রান করেন খুলনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার আন্দ্রে ফ্লেচার। ম্যাচটি ৯ উইকেটে জিতেছিলো খুলনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ