স্টাফ রিপোর্টার – আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার সিদ্ধান্ত আপাতত বাতিল হয়ে গেছে। সরকার বাতিল করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সোমবার এমনটিই জানিয়েছেন। বৈশ্বিক মন্দার কারণ দেখিয়ে ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত সরকার বাতিল করেছে জানান তিনি। গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ইভিএম প্রকল্পটির বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে এবং বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আপতত প্রক্রিয়াকরণ না করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন রবিবার ইভিএম নিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনকে জানায়। সোমবার নির্বাচন কমিশন বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানালো।
নির্বাচন কমিশন গত বছরের অক্টোবরে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিল ইসি।
প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনাও হোঁচট খেয়ে গেল। বৈশ্বিক পরিস্থিতি আর আর্থিক সংকটের বিবেচনায় ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসে ইসি সচিব বলেন, আমরা পরিকল্পনা কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত পেয়েছি। এ মুহূর্তে প্রকল্পটি তারা প্রক্রিয়াজাতকরণ করছে না। বাতিল হচ্ছে না, তবে এ মুহূর্তে হচ্ছে না। তবে ইসির হাতে এই মুহূর্তে যে ইভিএম আছে, তা দিয়ে ৫০-৬০টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলবে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।
ইসির সচিব বলেন, ২০১৮ সালের ইভিএম দিয়ে যা সম্ভব, তা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত রয়েছে, তা বহাল রয়েছে। সেক্ষেত্রে ৫০-৬০ আসনে ইভিএমে ভোট হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো: আনিছুর রহমান বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) নতুন প্রকল্পের জন্য অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করা হবে না। ফেব্রুয়ারি মাসেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।