বিনোদন ডেস্ক- ঢালিউড, টলিউড হয়ে এখন বলিউডেও ওড়াউড়ি করছেন জয়া আহসান। ফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তি সই করেছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর সঙ্গে। সোশাল হ্যান্ডেলে শীতজুড়ে চোখ ধাঁধানো ফটোশুট প্রকাশ করে, তাক লাগালেন ভক্তদের-সতীর্থদের। ব্যস্ততার কমতি নেই!
এরমধ্যে শেষে করেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠির সঙ্গে বলিউডের প্রথম ছবি ‘করক সিং’। পাইপলাইনে শুটিং চলতি আর মুক্তি প্রতীক্ষিত দুই বাংলার ছবির সংখ্যাও মেলা। তাই শুটিংয়ের বাইরে নিজেকে নিয়ে ভাববার ফুরসত কই। সোজা ভাষায়, যাকে বলা যায় ‘বিয়ে ভাবনা’!
হুম, এ পর্যায়ে এসে সেটি নিয়ে ভাববার সুযোগ করলেন বৈকি। থার্সডে নাইটে (৯ ফেব্রুয়ারি) এ নিয়ে জয়া আহসানের সঙ্গে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউন-এর। ভেন্যু হিসেবে জানালেন, সেনাকুঞ্জ আর গলফ ক্লাবের কথা। প্রকাশ করলেন উচ্ছ্বাস। দিলেন, বিয়ের আসরে পছন্দের খাবার মেন্যুও!
জয়া বলেন, ‘সাধারণত এই শীত-সময়ে টানা শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকি সবসময়। এবার তো মুম্বাই ব্যস্ততাও ছিল। জানুয়ারিতে সেটা শেষ করলাম। যাহোক, শুটিং জটিলতা পেরিয়ে এবার বিয়ের জন্য সময়টা বের করলাম।’
অনেকেই এরমধ্যে জেনে গেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহটা এই অভিনেত্রী তুলে রেখেছেন বিয়ে-ব্যস্ততার জন্য। যেখানে তিনি ‘ওয়েডিং’ ক্রাশ হিসেবে চলে যাবেন একটি অপরিচিত বিয়ের আসরে। সেখানে তিনি নতুন দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাবেন। গল্প করবেন। সেলফি তুলবেন আর মনভরে খাবেন। যেমনটা ভেবেছিলেন, তাই করলেন সার্কাসকন্যা বিউটি। সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে তার কণ্ঠে উচ্ছ্বাস। আবেগতাড়িতও হলেন খানিকটা।
বললেন, ‘হুট করেই কাছাকাছি সময়ে দুটো বিয়েতে গেলাম। একটি সেনাকুঞ্জে আরেকটি গলফ ক্লাবে। দুটোই রাজধানীতে। এটা বার্জার পেইন্টের একটা ক্যামপেইন ছিল। যার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমি। তবে এই দুটো বিয়েতে যোগ দেওয়ার প্রথম উদ্দেশ্য খাওয়া। অনেকেই মনে করেন, আমি অনেক বেছে খাই। সেটা সত্যি। তবে বিয়ের খাবার হলে আমি আর কিছু ভাবি না। এই খাবারটা আমার সবচেয়ে প্রিয়। বিয়ের কাচ্চি, পোলাও আর জর্দা আমার কাছে সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার। কিন্তু শুটিংয়ের কারণে তো গত কয়েক বছর বিয়ের দাওয়াতে যোগই দিতে পারিনি। এবার সেই আক্ষেপ কমলো। বিয়ের আনন্দ শেষে আবার ফিরেছি শুটিং জীবনে।’
দুটো বিয়েতে পর পর যোগ দিয়ে জয়া আহসান যে শুধু কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছেন, তা কিন্তু নয়। নতুন দম্পতির সঙ্গে গল্প করেছেন। অতিথিদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন। সেলফি তুলেছেন।
জয়া বলেন, ‘খেয়েছি মন ভরে। এটা ঠিক। কারণ বিয়ে খাই না বহুদিন। তবে দুটো বিয়েতে অংশ নিয়ে প্রশান্তিটা এখানে, দুই জোড়া মানুষের নতুন জীবনের শুরুটাতে বিশেষ কেউ হয়ে থাকতে পেরেছি; এটাই বড় বিষয়। ওদের নতুন জীবনের প্রথম দিনের একজন হতে পেরে কী যে ভালো লাগছে। সময়টা খুব এনজয় করলাম।’
না, এ পর্বে আর জয়া আহসানের চলমান প্রেম বা বিয়ে-ভবিষ্যতের তথ্য তুলে আনা সম্ভব হলো না। কারণ, প্রশ্নগুলো আনসিন করে রেখেছেন এই সিঙ্গেল-ট্রায়াঙ্গেল অভিনেত্রী। এদিকে সম্প্রতি শেষ করে আসা বলিউড মিশন ‘করক সিং’ প্রসঙ্গে জয়া আহসান আগেই বলেছেন, ‘এটা আমার প্রথম হিন্দি ছবি এবং এখানে আমার চরিত্রটি গল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যখন আমার কাছে এই ছবির প্রস্তাব আসে, আমি রোমাঞ্চিত হয়েছি এবং তাৎক্ষণিক হ্যাঁ বলে দিয়েছি। কারণ, অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী পরিচালক, সঙ্গে পঙ্কজ ত্রিপাঠির মতো সহশিল্পী। আমি বরাবরই চেয়েছিলাম তাদের দুজনের সঙ্গে কাজ করতে এবং সেটা আমার প্রথম হিন্দি ছবিতেই হয়ে গেলো! কাজটি নিয়ে আমি খুব উচ্ছ্বসিত।’