স্টাফ রিপোর্টার – সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক জামায়াতের গঠনতন্ত্র। তবে দলটির নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে সরকার আন্তরিক। দলটির নিবন্ধন বাতিলের জন্য চলমান আইন যথেষ্ট নয়। এ কারণে যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। কথাগুলো বলেছেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৪৮তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এসব কথা তিনি।
এসময় বিচারকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, জুডিশিয়াল ডিসিশন (সর্বোচ্চ আদালতের রায়, সিদ্ধান্ত) মেনে চলে মামলাজট নিরসনে ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের জন্য অন্য যেকোনো সরকারের চেয়ে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। বিচারকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আপনাদের দায়িত্ব মানুষ যেন দ্রুত বিচার পায় সেটা নিশ্চিত করা।
প্রায় ৩৭ লাখ মামলা জট রয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এ থেকে জনগণকে পরিত্রাণ দিতে হবে। বিচার বিভাগের শৃঙ্খলা মেনে চলতেও প্রশিক্ষণারীদের তাগিদ দেন আইনমন্ত্রী। বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য রাখেন।
জামায়াতের বিচারে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করেছে। তাই জামায়াতের বিচারে সরকারের আন্তরিকতা নেই, এ প্রশ্ন করাও আমাদের জন্য দুঃখের। জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। তাই বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কোনো কথা বলব না।