Search
Close this search box.

সাংবাদিক নাদিম হত্যা: চেয়ারম্যান বাবুকে প্রধান আসামী করে ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার তিন দিন পর ২২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন তার স্ত্রী মনিরা বেগম। শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে মূল অভিযুক্ত বাবুকে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (১৭ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলাহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ। তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া থেকে বাবু চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বাবু চেয়ায়রম্যানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, র‌্যাবকে আমি তার বোনের ঠিকানাটি দিয়েছি, সেখান থেকে র‌্যাব আটক করেছে।

এর আগে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মাহবুবুল আলম বাবুকে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মাহমুদুল আলম বাবুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা জানাতে ৭ দিন সময় দেয়া হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১৬ জুন) গভীর রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।

তবে এখনও গ্রেপ্তার হয়নি হামলায় সরাসরি অংশ নেয়া চেয়ারম্যানের ছেলে। নাদিম হত্যায় চেয়ারম্যান বাবুসহ এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তবে বাবু ছাড়া অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি। গ্রেপ্তার অন্য ১০ জন চেয়ারম্যান বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছে।

নিহত সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টেলিভিশনের স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। তিনি জেলা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন।

গত বুধবার রাত ১০টার দিকে নাদিমের ওপর হামলা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নাদিমের ওপর হামলার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ