তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিনফিড) সম্প্রচার ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। কিছু ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন এখনও প্রচার করছে, সেটা বন্ধ করতে হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ক্লিনফিড চালুর পরে কতটুকু উন্নতি হয়েছে, আগামীতে নতুন কী করা হবে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্লিনফিড না থাকার কারণে কমপক্ষে প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকা বিদেশে চলে যেত। এখন ক্লিনফিড চালু হওয়াতে কী লাভ হয়েছে, সেটা টেলিভিশনের মালিক যারা আছেন তারা বলতে পারবেন। তবে কিছু কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনও আছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশি টিভির মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শন বা বিজ্ঞাপন বন্ধ হওয়াতে আমাদের টেলিভিশন শিল্প উপকৃত হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের দেশ থেকে যে ৫০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন চলে যেত, সেটা বন্ধ হয়েছে। যা দেশের অর্থনীতি ও মিডিয়া শিল্পের জন্য ভালো হয়েছে। ক্লিনফিডের উপকার শুধু টেলিভিশন শিল্প পাচ্ছে তা নয়, পুরো মিডিয়া শিল্প এটা পাচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু আইএসপি প্রতিষ্ঠান যারা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার তারা কিন্তু ক্লিনফিড চালাচ্ছে না। তারা তাদের মতো ইনারনেটের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। সেটা নিয়ে কাজ চলছে। আজকে এটিও একটি আলোচনার বিষয় এবং এটি বন্ধ করতে হবে।
সম্প্রতি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দিয়েছে কোনো বিবাহিত ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেলে থাকতে পারবে না এবং বিআরটি বাসের নিচ তলাতে মেয়েরা উপরে ছেলেরা বসবে, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কাগজে নিউজটা দেখেছি। আমি আশ্চর্য হয়েছি এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় নিতে পারে। বিয়ে করলে ছাত্রীরা হলে থাকতে পারবে না, এরকম সিদ্ধান্ত আমার দৃষ্টিতে একেবারেই অযৌক্তিক। এরকম সিদ্ধান্ত কীভাবে নেয়? এটা হতেই পারে না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের এ যুগে ছাত্রীরা এক তলায় বসবে আর ছাত্ররা দোতলায় বসবে, বিষয়টি জানা ছিল না। এটিও অবাস্তব, এটা সৌদি আরব নয়, বাংলাদেশ। এখন সৌদি আরবের মেয়েরা গাড়ি চালাচ্ছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত কীভাবে হয়, কার মাথা থেকে আসে এবং কর্তৃপক্ষ কীভাবে নেয়, এটি আমার বোধগম্য নয়। তবে আমি বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আনব।