আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গাড়ি চালকদের লাঠি ও লোহার রড রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ওরা আগুন দিতে আসলে গাড়িতে রাখা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে জবাব দেবেন। আগুন দিতে আসলে তাদের হাত পুড়িয়ে দেবেন।
সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিএনপি জামায়াতের অবরোধ বিরোধী প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে গুহায় ঢুকে গেছে। তাদের কর্মসূচি মানুষের ওপর হামলা করা। মানুষ পোড়ানো। গাড়ি ঘোড়া জ্বালিয়ে দেওয়া। আমরা বিরোধী দলে ছিলাম। আমরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করতাম। আর বিএনপি নেতারা কর্মসূচি দিয়ে গুহায় ঢুকে গেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবর পুলিশের বাজির আওয়াজে তারা সমাবেশ থেকে পালিয়েছে। তারা পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করেছে। অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দিয়েছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করেছে। বিএনপি বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। এখন বিভিন্ন মহল বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে। আমরা সেটা করতে চাই না। আমাদের মেয়েদের কাপড় ধরে টানাটানি করছে। পাকিস্তানীদের মতো। মেয়েদের বলবো, আপনারাও প্রস্তুতি নিয়ে থাকুন। প্রতিহত করবেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারি দল হিসেবে মানুষের শান্তি নিশ্চিত করা দায়িত্ব। এ জন্য সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের সহনশীলতার বাঁধ ভেঙে গেছে। এই দুস্কৃতিকারীদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে। আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাই না।
নির্বাচন যথা সময়ে হবে। সংবিধান অনুযায়ী হবে। এখন বিএনপির অনেক নেতারা তারেক রহমানের ওপর ক্ষুব্ধ। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও অনেকে নির্বাচনে অংশ নিতে বসে আছে। তাই অনুরোধ করবো, সন্ত্রাস পরিহার করে নির্বাচনে আসুন। আমরা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে রাজপথে নেমেছি।
এ অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন আহমেদ, সহ সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মিরাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, মহানগর দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ।