Search
Close this search box.

এর একটি সুরাহা হওয়া খুব জরুরি: ডিপজল

নায়ক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। কিন্তু দর্শক সেভাবে তাকে গ্রহণ করেনি। একটা সময় খলচরিত্রে অভিনয় শুরু করলেন। সঙ্গে সঙ্গে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি এক ভয়ংকর ভিলেন উপহার পেল।

ভিলেন হিসেবে পর্দায় ডিপজল এতটাই পরিচিতি ও বাজে মানুষ হিসেবে খ্যাতি পেলেন যে, শিশুদের খাবার খাওয়াতে মায়েরা ডিপজলের নাম বলে ভয় দেখিয়ে খাবার খাওয়াতেন।

ডিপজল অভিনীত সিনেমাগুলো অশ্লীলতার দোষে দুষ্ট ছিল। একটা সময় এসে থামলেন ভয়ংকর বিশু। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সিনেমা নির্মাণ শুরু করলেন। চাচ্চু, দাদিমা, জমিদারসহ অসংখ্য পারিবারিক সিনেমা উপহার দিলেন। এই সিনেমাগুলো ডিপজলের মন্দ মানুষের পরিচিতি সরিয়ে দিলো। কারণ এখন তিনি নায়ক। মন্দ লোকের চরিত্রে আর কাজ করেননি তিনি।

ডিপজল সব সময় দেশীয় প্রেক্ষাগৃহে বিদেশি সিনেমা মুক্তি বন্ধের আন্দোলন করে গেছেন। কিন্তু বিদেশি সিনেমা মুক্তি আটকে রাখা যাচ্ছে না। সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে ১৯ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছেন ডিপজল।

ফিরেই হিন্দি সিনেমার মুক্তি বন্ধের দাবি জানালেন। তিনি বলেন, ‘এই দেশের সিনেমা ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা দেখেছি, হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেওয়ার ফলে নেপালের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশটির সমৃদ্ধ সিনেমা হিন্দি সিনেমার কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের দেশে যদি একের পর এক হিন্দি সিনেমা চালানো হয়, তাহলে দেশের চলচ্চিত্রও ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের নিজস্ব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলে কিছু থাকবে না।’

ডিপজল আরও বলেন, ‘বিদেশি সিনেমা আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করবে। এতে দেশে সিনেমা নির্মাণের প্রবণতা কমে যাবে; তাই হচ্ছে। এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না। এর বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন; এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। নির্বাচনের পর বিদেশি সিনেমার বিষয়টি নিয়ে আমরা আন্দোলনের ডাক দেব। এর একটি সুরাহা হওয়া খুব জরুরি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ