অনৈতিক সম্পর্কের কারণে সৌমিত্র চাকমা নামের এক সহকারী পুলিশ সুপারকে দুই বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রেখে লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি কর্মকর্তা মুক্তা চাকমাকে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বিবাহ করে দাম্পত্য জীবনের মধ্যেই চট্টগ্রামের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সমাপ্তি চাকমার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে পড়েন চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের সহকারী পুলিশ সুপার ও স্টাফ অফিসার সৌমিত্র চাকমা।
এ সময়ে স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি উদাসীন থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখাসহ ভরণপোষণও দেননি তিনি। এরপর ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই সময় তিনি সমাপ্তি চাকমাকে বিবাহ না করেও বিবাহ করেছেন মর্মে মিথ্যা তথ্য দেন।
পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সমাপ্তি চাকমাকে বিবাহ করেন সৌমিত্র। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপর একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন সৌমিত্র চাকমা। ২০২২ সালের এক ফেব্রুয়ারি তার ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণ করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তার মতামত অনুসারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে সার্বিক পর্যালোচনা শেষে সৌমিত্র চাকমাকে দুই বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে এই মেয়াদের কোনো বকেয়া পাবেন না এবং এই মেয়াদ বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনা করা যাবে না।