গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কাওসার খানের বদলীর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দলিল লেখক সমিতি। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) কোটালীপাড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনের সড়কে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কোটালীপাড়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সভাপতি আহম্মদ হোসেন চৌধূরী, সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সেন, ইউপি চেয়ারম্যান মাজাহারুল আলম পান্না, দলিল লেখক আব্দুল খালেক হাওলাদার, মনির শাহ, কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলীউজ্জামান জামির বক্তব্য রাখেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আহম্মদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বৈধ কাগজপত্র থাকাও সত্তে¡ও সাব-রেজিস্ট্রার কাওসার খান আমাদের কাছে ঘুষ দাবি করেন। আমরা ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আমাদের দলিল রেজিস্ট্রি করেন না। আমি ৫৫বছর ধরে দলিল লেখক। কাওসার খানের মতো এ ধরণের ঘুষখোর সাব-রেজিস্ট্রার আমার কর্মজীবনে দেখিনি। এই ঘুষখোর সাব-রেজিস্ট্রারকে বদলির দাবিতে গত প্রয় মাসব্যাপী কর্মবিরতি পালন করে আসছি। আমাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মানববন্ধন করলাম। তার বদলী না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
ইউপি চেয়ারম্যান মাজাহারুল আলম পান্না বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার কাওসার খানের ঘুষ দাবি ও নানা অনিয়মের কথা আমরা জানতে পেরেছি। তার এই ঘুষ দাবির কারণে কোটালীপাড়া দলিল লেখক সমিতি গত প্রায় এক মাস ধরে কর্মবিরতি পালন করছে। এতে করে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় অচল হয়ে পড়েছে। এর জন্য কোটালীপাড়ার হাজার হাজার জনগণ ভোগান্তীতে পড়েছে। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। দ্রুত এর একটি সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
ঘুষ গ্রহণ ও অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কাওসার খান বলেন, আমি কোন দলিল লেখকের কাছে ঘুষ দাবি করিনি। আমি শুধু তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র চেয়েছি। এ জন্যই দলিল লেখকগণ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। জেলা রেজিস্ট্রার একেএম রফিকুল কাদির বলেন, দলিল লেখকদের কর্মবিরতির কথা আমি জেনেছি। তাদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবো।