Search
Close this search box.

সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের পাশে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী

ব্যাপক বৃষ্টিও পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরই মাঝে দুই জেলার প্রায় সকল উপজেলা প্লাবিত হওয়ায় পানি বন্দী মানুষ ঠাই খুঁজছেন আশ্রয় কেন্দ্রে।

বানভাসি এসকল মানুষদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা, তাদের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতসহ সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় সুনামগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ ব্যারাক, ডাইনিং রুম ও হল রুমে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৫১০ জন। স্থানীয় প্রশাসন ও বাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলার স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছেন আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যাগণ।

অপরদিকে সিলেট জেলার ৪৭১টি আশ্রয় কেন্দ্রের প্রতিটিতে পাঁচজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য নিরাপত্তা দায়িত্বপালন করছেন। তাছাড়া এই জেলার জৈন্তাপুর, কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রের ৫৫০ পরিবারকে জেলা আনসার ও ভিডিপির পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

বাহিনীর সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সকলকে বন্যা মোকাবেলায় কাজ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কমান্ডার ও জেলা কমান্ড্যান্টগণ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দলনেতা-দলনেত্রী, উপজেলা ও ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ও সহকারী আনসার কমান্ডারদের বন্যা মোকাবেলায় শুরু থেকেই সম্পৃক্ত করেছেন। তারা সম্মিলিতভাবে বন্যাদুর্গতদের তাদের গবাদি পশু ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তিসহ নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরে সহায়তা করছেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। বন্যায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষদের নৌকা কিংবা ভেলা দিয়ে তাদের পরিবার-পরিজনসহ আনসার-ভিডিপি সদস্যরা নিয়ে আসছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

বন্যাদুর্গতদের জন্য বিভিন্ন সরকারি অফিস, স্থানীয় প্রশাসন ও এনজিওদের খাদ্য বিতরণ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সহায়তা করছে আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যাগণ। নিজস্ব অর্থায়নেও তারা দুর্গতদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি বন্যার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষদের নৌকায় করে খিচুরী, শুকনো খাবার ও পানিবাহিত রোগ মোকাবেলায় ঔষধ ও খাবার স্যালাইন পৌঁছে দিচ্ছেন বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সদস্য-সদ্স্যাগণ।

উল্লেখ্য, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে যেখান থেকে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ, ব্যাটালিয়ন ও জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয়ে স্থাপিত কন্ট্রোলরুমের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ