আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘স্বৈরাচারীভাবে কারাবন্দি’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে। তাকে আটকে রাখাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও আখ্যা দিয়েছে।
জেনেভা-ভিত্তিক ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন অরবিট্রারি ডিটেনশন গত সোমবার (১ জুলাই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে কোনো বৈধ অভিযোগ ছিল না এবং রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থেকে তাকে বিরত রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সংস্থাটি বলেছে, ইমরান খানের মুক্তি এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ক্ষতিপূরণের অধিকার দেওয়া উচিত।
এমনকী তাঁরা দাবি করেছে যে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নির্বিচারে তাঁকে আটক করা হয়েছে। গতবছর দুর্নীতির অভিযোগে যে মামলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে দণ্ডিত করা হয়েছিল, সেই মামলাটি পরীক্ষা করার পর ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন এই দাবিটি জানিয়েছেন। আর মিথ্যে মামলার উপযুক্ত প্রতিকার হিসেবে তাঁরা ইমরান খানের মুক্তি দাবি জানিয়েছে।
গোষ্ঠীটি বলেছে, তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানের দোষী সাব্যস্ত হওয়া “সাধারণত পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) এবং তাকে বিশেষভাবে লক্ষ্য করে নিপীড়নের অনেক বড় প্রচারণার অংশ। ইমরান খানকে আটকের কোনও আইনী ভিত্তি নেই। রাজনৈতিক পদে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণার উদ্দেশ্য নিয়েই এই কাজ করা হয়েছে।” ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আগে, পিটিআই প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, নির্যাতন করা হয়েছিল এবং পার্টি ছেড়ে যাওয়ার জন্য ভয় দেখানো হয়েছিল। পিটিআইয়ের সমাবেশগুলি ব্যাহত এবং অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। সেই সময় ইমরান খানকে রাজনীতি থেকে সরতে বাধ্য করা হয়েছিল। এছাড়া নির্বাচনে ‘ব্যাপক জালিয়াতি’ এবং ‘সংসদীয় আসন চুরি’ করার অভিযোগও আনা হয়েছে।