কুমিল্লা প্রতিনিধি: শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবরে সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লাতে বিজয় উদযাপন করে ছাত্র-জনতা। গত ৫ আগস্ট বিকেলে বিজয় উল্লাস শেষে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোগলটুলি এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পড়েন বিএনপিপন্থি আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। এসময় অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ কোমরে গুলিবিদ্ধ হন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে নগরীর ট্রমা হসপিটালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এতে রাজনৈতিক অঙ্গন এবং আদালতপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে। হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করেন আইনজীবী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় নিহতের সহকারী অ্যাডভোকেট মোস্তফা জামান জসিম বাদী হয়ে ৫ জন এজাহার নামীয়সহ ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে অংশগ্রহণ শেষে বাসায় ফিরছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু, তার ছেলে শাফিউল হক আলভী, আরফানুল হক আবরিন এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ এবং কুমিল্লা বারের সদস্য আবুল কালাম আজাদ। এ সময় নগরীর মোগলটুলী এলাকায় ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হান আহমেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি এবং ককটেল ছুড়ে। এতে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ কোমরে গুলিবিদ্ধ হন। আর আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু এবং তার দুই ছেলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা ট্রমা হসপিটালে ভর্তি করেন। ওই হসপিটালে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ৫ জন এজাহার নামীয়সহ ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কাউন্সিলর রায়হানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।