স্টাফ রিপোর্টার: সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমুর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তর দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এর আগে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে আমির হোসেন আমু লুকিয়ে আছেন সন্দেহে রাজধানীর বসুন্ধরায় একটি ভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৪ ঘণ্টা ভবনটি ঘেরাও করে রাখার পর তাকে না পেয়ে সেখানে ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা। আমির হোসেন আমু ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৩ তিনি ভূমি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এরপর ২০১৪ সালে শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর একে একে সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, ১৪-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক এমপি সাদেক খান, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক সংসদ সদস্য টিপু মুনশি, হাজী সেলিম, ডিমএপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ আরও অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়।