স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দেশের অর্থনীতির শ্বেতপত্র হস্তান্তর করেছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্র তুলে দেন। কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আজ আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্র হস্তান্তর করেছি এবং আগামীকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
জানা গেছে, প্রতিবেদনে বিগত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সরকারের নানামুখী উদ্যোগ, উন্নয়ন প্রকল্পে প্রশ্নবিদ্ধ অর্থ ব্যয়, বিদেশি ঋণের অর্থ ব্যবহার, আর্থিক তথ্যে গরমিল, ব্যাংক খাতের লুটপাট, জিডিপি-মূল্যস্ফীতির তথ্যে নয়-ছয় তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নে অস্বচ্ছতা ও রাজস্ব আহরণে পদক্ষেপের বিষয়টিও উঠে এসেছে। এছাড়াও সংকট থেকে উত্তরণের পদক্ষেপও সুপারিশ করেছে কমিটি।
কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, দুর্নীতিবাজ ধরতে নয় বরং অনিয়ম-দুর্নীতির পথ বন্ধে করণীয়, সেইসঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে বর্তমান অর্থনীতির ক্ষত। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চিহ্নিত সমস্যা সমাধান করতে না পারলে কোনো সুফল দেবে না শ্বেতপত্র।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে মন্দাভাবকে এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। এমন অবস্থায় আজ প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে দেশের কালো অর্থনীতির শ্বেতপত্র। যেখানে থাকবে কেন এমন নাজুক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি আর সেখান থেকে উত্তরণের উপায় কী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ব্যাংক ও জ্বালানিখাতে বেশি লুটপাট হয়েছে। এসব তুলে ধরা হবে প্রতিবেদনে আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) আর্থিক খাতের লুটপাটের ফিরিস্তি তুলে ধরবে অন্তর্বর্তী সরকার। তার আগের দিন আর্থিক খাত নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেবে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।