উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্য দূর করতে এবং প্রথাগত রাজনীতি বদলানোর চেষ্টা কোনো দিন সহজ ছিল না। পরিবর্তনের জন্য কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে এবং সেই যাত্রায় ধৈর্য প্রয়োজন। পরিবর্তনের দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, বরং সব নাগরিককেই দায়িত্ব নিতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, কেবল কাগজে-কলমে সংস্কার করলে হবে না, এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকাও এখানে বড়। নেতৃত্ব বদলালেই সব বদলে যাবে না যতক্ষণ মানসিকতার পরিবর্তন না আসে। ক্ষমতার প্রয়োগে জবাবদিহি এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসান এবং ৩-৪ আগস্টের বিপ্লব অনেকের কাছে ছিল অভাবনীয়। অন্তর্বর্তী সরকার ম্যান্ডেট নিয়ে চিন্তিত নয়, তবে সংস্কারে জনমতের প্রতিফলন ঘটানো না গেলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন কঠিন হবে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের প্রশ্নে আমাদের জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। কেউ কাউকে প্রতিপক্ষ ভাবা ঠিক নয়। বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য মানসিক প্রস্তুতি ও অভ্যাস প্রয়োজন। বিশ্বমানের আইন থাকলেও যদি মনের পরিবর্তন না হয়, তবে কোনো স্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব নয়।