আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত মার্কো রুবিও। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী চীন, রাশিয়া, ইরান, কিউবার ব্যাপারে ট্রাম্প যে আক্রমনাত্মক পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেন, সে নীতির পক্ষে এ মার্কিন সিনেটরকে সব সময় অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তার পুরস্কারও পেলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কিন এ জনপ্রতিনিধির নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। ৯৯ জন সিনেটরের সবাই তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
মার্কো রুবিও কট্টর ইসরায়েলপন্থি হিসেবে পরিচিত। এছাড়া চীন বিরোধী হিসেবেও অনেকে জানেন তাকে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাছেও তিনি সমাদৃত।
এ কারণে দলটির কোনো সিনেটর তার বিরুদ্ধে ভোট দেননি। তাদের অনেকে মনে করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের জন্য মার্কো রুবিও উপযুক্ত ব্যক্তি।
তিনি ২০১১ সাল থেকে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক বছর আগেও তিনি ট্রাম্পের বিরোধীতা করতেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবার তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি পালন করতে যাচ্ছেন।
মার্কো রুবিওর প্রথম কাজ হবে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান করা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ৫৩ বছর বয়সী মার্কো বলেছেন, রাশিয়া এক দশকে ইউক্রেনের যত ভূমি দখল করেছে, সেগুলো পুনরুদ্ধারের চেয়ে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানের দিকে যাওয়া।
গত এপ্রিল মাসে ইউক্রেনের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া ১৫ জন রিপাবলিকান সিনেটরের একজন ছিলেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কো বলেছিলেন, তিনি রাশিয়ার পক্ষে নন। ইউক্রেন সংকট আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। সূত্র: সিএনএন।