শীতের হিমেল হাওয়া ও হাড় কাপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। কয়েকদিন থেকে সকালে ও রাতে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে গোটা জনপদ।
শীতের তীব্রতায় কষ্টে দিন কাটছে নিম্নআয়ের মানুষের। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের মানুষ। বিপাকে পড়েছেন নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চরাঞ্চল এলাকায় নদ-নদীর হিমেল হাওয়ায় কাহিল খেটে খাওয়া মানুষজন। ভোগান্তীতে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষাথীরা। অন্যদিকে, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি ও জ্বরসহ শীতের ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিলমারী ইউনিয়নের করাইবরিশাল এলাকার মামুন মিয়া (৪০) বলেন, ‘শীত মৌসুম এলে হামার চরাঞ্চল মানুষের খুব বিপদ আইসে। কারণ শীত ও ঠান্ডা বেশি লাগে কাজ কাম করা যায়, রাতে ঠিকমতো ঘুমও হয় না। খালি বাতাশ লাগে। কাইয়ো হামার এইদিক এলাও কম্বল দিবের আইসে নাই।’
একই ইউনিয়নের মমিন মিয়া (৫০) বলেন, শীত আইসলে চরে জমিতে আবাদ করা খুব সমস্যা। কয়েক দিন থাকি শীত ও ঠান্ডা থাকায় জমিতে কাজ করতে পারছি না।’
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের স্কুলের শিক্ষাথী মিলন মিয়া, মোছা. লাকি খাতুন, রচনা খাতুনসহ অনেকেই বলেন, সকালবেলা স্কুলে যেতে হয়। কয়েক দিন থেকে যে শীত ও ঠান্ডা পড়েছে স্কুল যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। স্কুল না গেলে তো লেখাপড়ার ক্ষতি হবে, তাই কষ্ট করে হলেও স্কুলে যেতে হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।