ধর্ষণের শিকার হয়ে নিহত শিশুটির নিথর দেহ মাগুরায় তার গ্রামের বাড়িতে ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে মাগুরা স্টেডিয়ামে তার মরদেহ পৌঁছায়।
এর আগে, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর থেকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার মরদেহটি নিয়ে মাগুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
স্টেডিয়াম থেকে মরদেহটি অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে। আজ রাতেই নোমানী ময়দানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এছাড়া, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, মাগুরা জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদাসহ অনেকে।
শিশুটির মরদেহ স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর পর তার মা ও স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশুটির মা বলেন,
“আমার মনিরে বেলেট (ব্লেড) দিয়া কেটে কেটে হত্যা করতে চেয়েছিল ওরা। আমি ওদের ফাঁসি চাই।”
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনা
এর আগে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
শিশুটির শিশুরোগ বিশেষায়িত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার চারবার এবং বৃহস্পতিবার আরও দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়।
৮ বছর বয়সী শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়।
ধর্ষণের পর তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে উন্নতি না হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
শিশুটির মা চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির ভগ্নিপতি সজীব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) এবং মা জাবেদা বেগম (৪০)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।