ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পাননি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া মোঃ আব্দুল মজিদ। আজও মোঃ আব্দুল মজিদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি গুলো তাড়া করে বেড়ায় তাকে। জীবনের শেষ প্রান্তে, মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে বৃদ্ধ আব্দুল মজিদের আফসোসের অন্ত নেই। তিনি মৃত্যুর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মুক্তিযুদ্ধোর স্বীকৃতির জন্য দাবী জানান।
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বগাজান গ্রামে ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ সালে হোসেন আলী ফকিরে ঘরে জন্ম হয় মোঃ আব্দুল মজিদের। ১৯৭১ সালের টকবগে যুবক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে ময়মনসিংহ দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর আফসার বাহিনীর প্রধান আফসার উদ্দিন আহমেদের অধীনে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। ঘরে স্ত্রী, ছোট এক ছেলে এক মেয়েকে রেখে বাড়ী থেকে বের হয়ে যান। ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ঢালুয়া খান বাড়ীর প্রশিক্ষণ সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নেন। থ্রী নট থ্রী রাইফেল হাতে অন্য মুক্তিযুদ্ধোদের সাথে স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশ গ্রহন করেন এবং বিভিন্ন স্থানে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন।
দেশ স্বাধীন হলে ময়মনসিংহ রাবেয়া ক্যাম্পে ছুটে যান। সেখানে অস্ত্র জমা দেন তিনি। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অধিনায়ক আতাউল গনি ওসমানী সনদ যার নং ৬৯০৯৭ প্রাপ্ত হন। দেশ স্বাধীন হলো, একটি মানচিত্র, একটি পতাকা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ উপহার পেলেও তার ভাগ্যে জুটেনি মুক্তিযুদ্ধার স্বীকৃতি ।
আব্দুল মজিদ জানান, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিলেও তিনি আজও মুক্তিযুদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। মৃত্যুর আগে যদি আমি মুক্তিযুদ্ধার স্বীকৃতি পেতাম তাহলে মরেও শান্তি পেতাম।