কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি এ কথা জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের এখানে পর্যাপ্ত ডাক্তার আছেন। যাদের উন্নত চিকিৎসা দরকার তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ইতোমধ্যে মালবাহী ট্রেনটি স্টেশন ত্যাগ করেছে। উদ্ধারকারী ট্রেন এসেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনটি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের বগি থেকে একে একে বের করা হচ্ছে মরদেহ। অন্তত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে র্যাব-বিজিবি। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তারা জানায়।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব জংশনের কাছাকাছি গাইনাহাটি এলাকায় ঢাকাগামী এগারসিন্দুর ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী একটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজে যোগ দেন।