কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি নয়ন মিয়াকে (৩৬) কুপিয়ে দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার উপজেলার ধূলদিয়া বাজারের আগে মুচিপাড়াসংলগ্ন গ্রামপুলিশ মুর্শিদ মিয়ার বাড়ি সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত রফিকুল ইসলাম নয়ন সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়ার বড় ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ধূলদিয়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন চেয়ারম্যানপুত্র নয়ন। পথে মুচিপাড়াসংলগ্ন গ্রামপুলিশ মুর্শিদ মিয়ার বাড়ি সামনে দুর্বৃত্তরা ধারালো ছুরি নিয়ে নয়নের ওপর হামলা চালায়। এতে তার দুটি হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা নয়নকে উদ্ধার করে প্রথমে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নয়নকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা তার ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম জানান, রাতে নয়ন মোটরসাইকেল চালিয়ে ধুলদিয়া বাজার এলাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা রাইখলা নামে পাশের একটি গ্রামের নয়ন, মামুন, শাহীন, কাইল্লা, আরমান ও সাদ্দামসহ ৮–১০ জন তার ওপর হামলা চালায়।
তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে এবং মাথা ঘাড়, পিঠ, বুক ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নয়নের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঢামেকে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
শফিকুল ইসলাম আরও জানান, তার ভাই কিশোরগঞ্জ–২ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ এমপির সমর্থক।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নয়নের দুই হাতের কবজি কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তাক্ত ছুরি জব্দ করেছে। কে বা কারা কী কারণে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।