স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রাম সিরাজগঞ্জ ও জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। এদিকে, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসীদের।
কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার এবং ব্রহ্মপুত্রসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি আরো বেড়েছে। ভেঙে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে ৯টি উপজেলার দুই লাখ মানুষ। দুর্ভোগে বানভাসীরা।
বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপায় না পেয়ে তারা ছুটছে আশ্রয় কেন্দ্রে। যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে পাঁচ হাজার তিনশ’ ৬২ টি পরিবার। তলিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ তাঁত কারখানা, রাস্তাঘাট, হাট-বাজার। পানিতে নিমজ্জিত ফসলি জমি।
জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টের পানি হ্রাস পেলেও বৃদ্ধি পেয়েছে জগন্নাথগঞ্জ ঘাটের পানি। এখনো ৩৫ ইউনিয়নের দেড় লাখ মানুষ জলবন্ধী। দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে, সিলেটে প্রতিদিনই কমছে সুরমা, কুশিয়ারাসহ সকল নদীর পানি। তবে দুর্ভোগ কমেনি বানভাসীদের। পানি কমলেও উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোতে এখনও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। অন্যদিকে, বেড়ি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।