শরীয়তপুর প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন শেষে বিজয় মিছিলে গিয়ে গুলিতে নিহত হন শরীয়তপুরের মীর মোহাম্মদ আল-আমীন। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন, শহীদের তালিকায় নাম, পরিবারের ভরনপোষণ ও হত্যাকারীর বিচারের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সভা করেছেন নিহতর পরিবার ও শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মিলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সবধরনের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
আল-আমীনের বোন আফলান সিনথিয়া জানান, তারা তিন ভাই এক বোন। গত পাঁচ মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন আল-আমীন। তিনি ঢাকাতে থাকতেন। গত ৫ আগস্ট সাভারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন আল-আমীন। আন্দোলনে গিয়ে লাইভে ছিলেন তিনি। হঠাৎ লাইভ বন্ধ হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। সব যায়গায় খুঁজেও তাকে পায়নি পরিবার। পরে ১২ দিন পর শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা।
মীর মোহাম্মদ আল-আমীন (২৯) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের দক্ষিণ মগর এলাকার ইসমাইল মীর মালত ও জিয়াসমিন বেগম দম্পত্তির বড় ছেলে। তিনি সৌদি আরব প্রবাসী ছিলেন।