কক্সবাজার প্রতিনিধি: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মংডু শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে বলে জানা গেছে। দখলের পর নাফ নদের আরাকান জলসীমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা। ফলে সীমান্তে এলাকায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, অস্ত্রধারী ঢুকে পড়ার চেষ্টাসহ নানা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে নাফনদী ব্যবহার করে সেন্টমার্টিন যাতায়াতও বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আরাকান আর্মি চাইবে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি করতে। এছাড়াও রোহিঙ্গারা চাপের মুখে এপাড়ে চলে আসার চেষ্টা করতে পারে। তাই সরকারের উচিত সীমান্তের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও নিরাপত্তা বাড়ানো।মংডু শহর দখলের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই টেকনাফ সেন্টমার্টিন সকল যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আপাতত দ্বীপে স্থানীয়রাও যাতায়াত করবে কক্সবাজার থেকে।উপজেলা প্রশাসন বলছে, বাংলাদেশি জেলেসহ সব নৌযানকে মিয়ানমারের দিকে না যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার রয়েছে।টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এতে নিরাপত্তার জন্য সীমান্তবর্তী মাছ শিকারে না যাওয়ার জন্য সাময়িকভাবে এই নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সেন্টমার্টিনে পর্যটকের আগমনসহ দ্বীপবাসীদের জন্য ইমার্জেন্সি সাপ্লাইয়ের কিভাবে ঝুঁকিহীনভাবে নৌযান চলাচল করতে পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার রয়েছে।’
রোহিঙ্গারা বলছেন, এবার জান্তা সরকারের সঙ্গে যুদ্ধের কথা বলে আরাকান আর্মির সেদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার শঙ্কা রয়েছে। কারণ, কেউ রোহিঙ্গাদের জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায় না।