আরিফ হোসেন হারিছ, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের নিমতলা বাজারের মিষ্টির দোকানে অজ্ঞাত নারী মায়ের পরিচয়ে একটি শিশুকে রেখে পালিয়ে যায়।বিক্রমপুর রক্তদান সংস্থার উদ্যোগে ফেসবুকের কল্যাণে শিশুটি ফিরে পায় মাকে।
সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি লাইভ প্রচার করেন শিশুটির প্রকৃত পরিচয় খুঁজে পেতে। মুহূর্তেই ভিডিটি ভাইরাল হয়ে যায়।ফেসবুকের বদৌলতে শিশুটির প্রকৃতি মা ভিডিও দেখে জানতে পারেন তার সন্তান সিরাজদিখানে পাওয়া গেছে।ভোরেই ছুটে আসেন শিশুর মা শাহানা। শিশুটির মা শাহানা কাজ করেন গৃহ পরিচারিকার।
থাকেন কেরানীগঞ্জ উপজেলার আম বাগিচা এলাকার রনিদের ভাড়া বাড়িতে।
জানা যায় মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলী থেকে নিখোঁজ হয় ২০ মাসের শিশু আরাফাত ওমর। সেদিন রাতেই কেরানীগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন আরাফাত ওমরের মা শাহানা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের নিমতলা বাজারের মিষ্টির দোকানে অজ্ঞাত নারী মায়ের পরিচয়ে একটি শিশুকে রেখে পালিয়ে যায়।
সিরাজদিখান থানা পুলিশ তাদের বেতার বার্তার মাধ্যমে জানতে পারেন কেরানীগঞ্জ থানায় শিশু হারানোর একটি জিডি হয়েছে।জিডির সূত্র ধরে সিরাজদিখান থানা পুলিশ নিমতলা বাজারের মিষ্টির দোকানে শিশুটিকে রেখে যাওয়া নারীর সন্ধানে নামে। শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ বুধবার ভোরে নারীকে খুঁজে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। আটক নারীর রত্না সে সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের ফইনপুর গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী।
রত্না জানায়, সে শিশুটিকে বিক্রির উদ্দেশ্যে কদমতলী থেকে চুরি করেছে। যার কাছে বিক্রি করবে সে এই শিশুকে গ্রহণ করেনি বা নিতে আসেনি। কোন উপায় না পেয়ে সে শিশুকে নিমতলার মিষ্টির দোকানে রেখে পালিয়ে যায়।
নিমতলা হাট ও বাজার কমিটির সভাপতি মো. সজিব মোড়ল ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাগর শেখ,বিক্রমপুর রক্তদান সংস্থার সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ, সদস্য শান্ত ভূইয়া, সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস, রক্তের বন্ধনে বিক্রমপুরের সভাপতি অপু শেখসহ আরো স্বেচ্ছাসেবীরা প্রশাসনকে অবগত করে শিশুটিকে পরম মমতায় নিজেদের বাসায় রাতে রাখেন। সকালে থানায় নিয়ে আসেন তারা। খবর পেয়ে সিরাজদিখান উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুমন মধুসহ কর্মকর্তারা ছুটে আসেন থানায়।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান,শিশুটির মা থানায় এসেছে। আমরা শিশুটিকে চুরি করে আনা ওই নারীকে আটক করেছি। শিশু আরাফাতকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।