বিএনপির গত ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে সহিংসতায় পুলিশ সদস্য নিহতের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালত এ আদেশ দেন।
তাদের আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিঝিল জোনের ডিবির পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে দুই পক্ষের শুনানী নিয়ে আদালত দুজনেরই ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গুলশান থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ও সরকারে পদত্যাগের একদফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতা–কর্মীরা।
এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালেও। বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন প্রায় অর্ধশত। এ সময় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর ওপরও হামলা করা হয়। ভাংচুর করা হয় গণমাধ্যমের কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।
পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুক মিয়া। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুস সালাম, নিপুণ রায়, আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস এরই মধ্যে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।