Search
Close this search box.
ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপ-নির্বাচন

নিখোঁজ প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ আত্মগোপনে রয়েছেন- ইসি আনিছুর

স্টাফ রিপোর্টার- নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রার্থী নিখোঁজ।  নিখোঁজ এবং আত্মগোপন তো সমার্থকই বলা যায়। পারিপার্শিক যে কথা-বার্তা আসছে, যেগুলো ভাইরাল হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে সে আত্মগোপন করেছে। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনে এর খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। তার স্ত্রী তো তার পক্ষ থেকে সবকিছু বুঝে নিচ্ছেন। তাহলে আমি কিভাবে বুঝবো প্রার্থী থাকলে ভালো হতো না মন্দ হতো।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা খুঁজে বের করে মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসবেন।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের খোঁজ মিলছে না বলে খবর আসে রবিবার। আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ভোটে দাঁড়ানোয় তাকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

তার স্ত্রী মেহেরুন্নিছা রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি রাত থেকে আসিফ নিখোঁজ তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। তবে আসিফের পরিবার বিষয়টি প্রশাসন কিংবা পুলিশকে জানায়নি কিংবা কোনো আইনগত ব্যবস্থাও নেয়নি।

এর আগে আবু আসিফ আহমেদ জানিয়েছিলেন, ২৫ জানুয়ারি রাত থেকে তার শ্যালক ও নির্বাচন পরিচালনাকারী কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শাফায়েত হোসেন (৩৮) নিখোঁজ রয়েছেন। একই দিন মধ্যরাতে আসিফের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মুসা মিয়াকে (৮০) একটি মারামারির মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ।

আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি কোথায় এবং কী অবস্থায় আছেন তা বুঝতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে পুলিশ এসে অযথা তল্লাশি করে হয়রানি করছে। বাড়ির সামনেও কিছু পুলিশ আসা যাওয়া করছে।

এখন নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে যে এজেন্ট দেব, তাও খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ সবাইকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের ভয়ে আমি নিজেই পালিয়ে ছিলাম। আজকের মধ্যে খোঁজ না পেলে থানায় অভিযোগ করব।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশ তার (আবু আসিফ) বাড়িতে গিয়ে হয়রানি করেনি। পুলিশ কখনোই তার বাড়িতে যায়নি এবং এখনও নেই। তিনি নিখোঁজ কিনা সে বিষয়েও আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেইে। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগও করেনি কেউ।

নির্বাচন কমিশনার সংবাদিকদের বলেন, “আগে রিপোর্ট আসুক, তারপর সিদ্ধান্ত। আমাদের মত করেই আমরা কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি– ‘যেভাবে পারো ওনাকে উদ্ধার করো। অলরেডি এটা আমরা নির্দেশ দিয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার করতে পারবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ