স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ৩৫ কেজি গাঁজা সহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: রাশেদুজ্জামান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি আভিযানিক দল ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ মেহেদী হাসান নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে উত্তরা পশ্চিম থানধীন উত্তরা এলাকা হতে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: মোঃ ইলিয়াছ মিয়া (৩৫) সুজন আবেদীন (৩৭) ও মোঃ আঃ শুক্কুর (৩৪)।
তিনি উল্লেখ করেন চক্রটি দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহ করে আসছিল বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট তথ্য আসে। তারা বিভিন্ন কৌশলে তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করছিল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছুদিন ধরে তাদের কার্যক্রম ও গতিবিধি মনিটর করে আসছিল।
তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে তথ্য আসে যে চক্রটি সিলেটের হবিগঞ্জ হতে আগত গাঁজার বড় একটি চালান ঢাকায় ডেলিভারী করবে । উক্ত তথ্যানুযায়ী অধিদপ্তরের রমনা সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত টিম তাদেরকে মনিটরিং করতে থাকে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন শেষে মঙ্গলবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে উত্তরা পশ্চিম থানধীন উত্তরা এলাকা হতে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ ০৩ (তিন) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা করে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রফতারকৃতরা জানায়, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হবিগঞ্জ ও ব্রহ্মণবাড়ীয়া থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে আসছিলো।
ব্যবসার কৌশল হিসেবে অতিরিক্ত পরিচালক জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত মোঃ ইলিয়াছ মিয়া (৩৫) চক্রের মূল হোতা। তারা অভিনব কৌশলে হবিগঞ্জ ও ব্রহ্মণবাড়ীয়া হতে গাঁজার বড় চালান এনে ঢাকায় তাদের নির্ধারিত কয়েকজন লোকের মাধ্যমে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এরা হবিগঞ্জ ও ব্রহ্মণবাড়ীয়া থেকে মাদক ঢাকায় আনার ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার হিসেবে বিভিন্ন জনকে ব্যবহার করে। ব্যবসার নিরাপত্তার স্বার্থে তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় নানন কৌশলে ডেলিভারীর মাধ্যমে বর্ণিত ব্যবসা পরিচালনা করতো। এ চক্রের অন্যান্য হোতাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা নিয়ে আমরা অধিকতর অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য এই চক্রের অন্যান্য হোতাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে যে কোন সময় অভিযান পরিচালনা করা হবে।