Search
Close this search box.

মারা গেলেন চনপাড়া বস্তির সেই বজলু মেম্বার

স্টাফ রিপোর্টার- মাদক ও অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়ার ইউপি সদস্য বজলুর রহমান ওরফে বজলু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।

হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বজলু রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে ‘মাদক ব্যবসা’ নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ ছিল। গত বছরের ১৮ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বজলুর রহমান।

গত ২৩ মার্চ নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। সেদিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাত তলা ৭০১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ মার্চ আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

স্বজনরা জানান, বজলুর রহমানের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়ায়। বাবার নাম নাদের বক্স সরদার। স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও তিন মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। মৃত বজলুর রহমান রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন।

গত বছর বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের মাদক প্রসঙ্গ উঠে এলে আলোচনায় আসেন বজলুর রহমান। গত সেপ্টেম্বরে চনপাড়ায় এক মাদকবিরোধী অভিযানে র‌্যাবের উপর হামলার ঘটনায় করা একটি মামলার প্রধান আসামি ছিলেন বজলুর রহমান।

গত ১০ নভেম্বর র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মাদক ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম শাহীন ওরফে সিটি শাহীন বজলুর অন্যতম সহযোগী ছিলেন। গত ১৮ নভেম্বর গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও জাল টাকা রাখার অভিযোগে তিনটি মামলা করে। এই তিন মামলার বাইরেও বজলুর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ অন্তত ২৩টি মামলা ছিল বলে তখন জানিয়েছিল র‌্যাব।

গ্রেফতার হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী ছিলেন বজলুর রহমান। ওই কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, বজলুর ডায়াবেটিক, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত ২৩ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সেদিনই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ